বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর আমান উল্লাহ (৮০) মারা যান।
বগুড়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরিফ রহমান জানান, আমান উল্লাহ খান ১০ মার্চ অসুস্থ হলে জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের নিউরো মেডিসিন বিভাগে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। তিনি কিডনি, হার্টসহ নানা ধরনের জটিল রোগে ভুগছিলেন।
আরিফ জানান, তার প্রথম নামাজে জানাজা বাদ আসর শহরের আলতাফুন্নেসা খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় জানাজ বাদ মাগরিব বগুড়া প্রেসক্লাব চত্বরে হয় এবং রাতে উপশরে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার সকালে তার গ্রামের বাড়িতে চতুর্থ জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করার কথা আছে বলে আরিফ জানান।
১৯৩৮ সালে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার জয়লাজুয়ান গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবা ক্ষিদির উদ্দিন খান। তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। তার মেজভাই মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হোসনে খান দৈনিক ইত্তেফাকের সাবেক প্রধান প্রতিবেদক এবং ছোট ভাই মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জাফর উল্লাহ খান।
১৯৬৪ সালে তিনি দৈনিক ইত্তেফাকের উত্তরাঞ্চলীয় ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি হিসাবে নিয়োগ পানন। সাংবাদিকতায় যোগদানের মাধ্যমে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। ষাটের দশকে বগুড়া জেলার রাজনীতি ও সাংবাদিকতায় যারা ত্যাগ স্বীকার করে নানা প্রকার রাজনৈতিক নির্যাতনের শিকার হন আমান উল্লাহ খান তাদের অন্যতম।
আমান উল্লাহ বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় নির্বাচনে ১৯৭৩ সালে বগুড়া-৫ আসন থেকে নির্বাচন করেন এবং সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।