বুধবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে তিনি ক্যাম্পাসে নিজ বাসভবনে পৌঁছেন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমিন হক ও মেয়ে ইয়েশিম ইকবাল।
দুপুর পৌনে ১টায় নভো এয়ারের একটি বিমানে তিনি সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন বলে জানান তার ব্যক্তিগত সহাকারী জয়নাল আবেদীন।
এ সময় বিশ্ববিদ্য্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা জাফর ইকবালকে ফুল দিয়ে বরণ করেন।
ক্যাপম্পাসে পৌঁছে নিজ বাসভবনের নিচে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন জাফর ইকবাল।
তিনি বলেন, “আমি জানতাম না দেশের মানুষ আমাকে এত ভালোবাসে। এ আঘাত না পেলে বিষয়টি আমার অজানা থাকত। কারো প্রতি আমার কোনো ক্ষোভ নেই। আমি মৃত্যুর খুব কাছ থেকে ফিরে এসেছি।”
হামলার পর তার পাশে থাকার জন্য গণমাধ্যমকর্মীসহ সকলকে ধন্যবাদ জানান।
জাফর ইকবালের ক্যাম্পাসে ফেরা উপলক্ষে নিরাপত্তা জোরদার করতে অতিরুক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মুক্তমঞ্চের সমাবেশকে কেন্দ্র করে বাঁশের খুঁটি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে নিরাপত্তা বেষ্টনি।
গত ৩ মার্চ বিকালে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে এক অনুষ্ঠান চলাকালে ফয়জুল হাসান ওরফে শফিকুর নামের এক তরুণ ছুরি হাতে জাফর ইকবালের ওপর হামলা চালায়।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে বলে, জাফর ইকবাল ‘ইসলামের শত্রু’ বলে সে মনে করে, এ কারণেই তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে।
জাফর ইকবালকে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে রাতেই তাকে পাঠানো হয় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে।
দুপুরে বিমানবন্দরে নেমে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
হামলাকারী ফয়জুলের উপর তার কোনো ক্ষোভ নেই উল্লেখ করে তাদের পৃষ্টপোষক ও মদদদাতাদের খুঁজে বের করার কথা বলেন।
পুরোপুরি সুস্থ না হলেও শুধু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে তিনি সিলেট এসেছেন বলে জানান।
“আমি শুধু আমার প্রিয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীর জানাতে এসেছি, আমি ভালো আছি।”
“আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আবার ঢাকায় ফিরে যাবেন জাফর ইকবাল। শনিবার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে আবার চিকিৎসার জন্য যাবেন।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদ বলেন, “হামলার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জাফর ইকবালের নিরাপত্তাও বাড়ানো হবে।”