সদর উপজেলার আলোকবালী আ. মান্নান উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আ. মান্নানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থী সাথী আক্তারের মা নয়নমনি বেগম।
তিনি বলেন, তার মেয়ে শনিবার সকাল সোয়া ১০টায় স্কুলে যাওয়ার পর মান্নান তাকে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে নিয়ে যান।
“দেরি করে স্কুলে আসার কারণ জিজ্ঞেস করার পাশাপাশি মান্নান তাকে বেধড়ক বেত্রাঘাত করেন। এতে সে জ্ঞান হারায়। পরে তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।”
তার পিঠে ও হাঁটুতে বেত্রাঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক মাহমুদা আক্তার।
সাথীর বাবা ১০ বছর ধরে নিখোঁজ জানিয়ে তার মা নয়নমনি বলেন, তাকে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। তাই তার মেয়ে পড়ালেখার পাশাপাশি সংসারের কাজও করে। সকালে বাড়ির কাজ সেরে স্কুলে যেতে দেরি হয়।
বেত্রাঘাতের কথা স্বীকার করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদিন।
তিনি বলেন, বিবাদ মীমাংসার জন্য পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দায়িত্ব নিয়েছেন।