বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিশ্বপ্রিয় চক্রবর্তীর নেতৃত্বাধীন একটি দল ‘একুশে বাংলা কিবোর্ড’ তৈরি করে।
মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষকরা।
পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট টিমের অপর চার সদস্য হলেন সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী রনিত দেবনাথ আকাশ, উ খ্যই নু, বুদ্ধ চন্দ্র বণিক ও গৌতম চৌধুরী।
নতুন এই কি বোর্ডের ফিচারগুলো হলো ইংরেজি ‘কোয়ার্টি’ কি বোর্ডের বাংলা রূপান্তর, দ্রুত লেখার জন্য সুইপ পদ্ধতি, অসম্পূর্ণ বাক্যের পরবর্তী অংশের জন্য সাজেস্ট এবং ইমোজের ব্যবহর।
অ্যাপস ভিত্তিক এ কি বোর্ডটি অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেম সংযুক্ত মোবাইল ফোনে ব্যবহার করা যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে সিএসই বিভাগের অধ্যাপক জাফর ইকবালসহ অন্যান্য শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয় ও সিলেটে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, সময়ের সাথে কি বোর্ডের বুদ্ধি বাড়তে থাকবে। কি বোর্ড যত বুদ্ধিমান হবে আপনাকে তত কম লিখতে হবে, আপনার পরিশ্রম তত কমে যাবে।
“নতুন এই কি বোর্ডের জন্য আলাদা করে বাংলা টাইপ শিখতে হয় না। এছাড়া দ্রুত লেখার জন্য টাইপের পাশাপাশি সুইপ করে লেখার ব্যবস্থা রয়েছে এই কি বোর্ডে।”
উদ্ভাবক দলের নেতা সহকারী অধ্যাপক বিশ্বপ্রিয় চক্রবর্তী বলেন, ভাষার মাসে কি বোর্ডটি উদ্বোধন করলেও ভবিষ্যতে এটাকে আরও উন্নতি করার ইচ্ছে আছে। নতুন নতুন ফিচার সংযুক্ত করে সবার জন্য টাইপিং সহজীকরণ করতে আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মোবাইলে ভর্তি কার্যক্রম চালু, দেশের সর্বপ্রথম বাংলা সার্চ ইঞ্জিন ‘পিপীলিকা’, দেশের প্রথম বাংলায় কথা বলা রোবট ‘রিবো’ তৈরির পর প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন বাংলা কি বোর্ড তৈরি করল এ বিশ্ববিদ্যালয়।