শীতের জড়তা মুছে প্রাণের স্পন্দনে একটু একটু করে যেমন জেগে উঠেছে প্রকৃতি, তেমনি বাসন্তী শাড়ি-পাঞ্জাবির সঙ্গে গোলাপ-ডালিয়ার বাহারি ফুলে ফুলে সেজে উঠেছে মতিহারের সবুজ চত্বর।
এই আনন্দের মধ্যে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের হুল্লোর যেমন দেখা গেছে বেশি তেমনি ম্লান দেখা গেছে শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের।
বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের সাবিনা বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের মত গ্রামে বসন্ত বরণে এত আয়োজন দেখা যায় না। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এমনিতেই আমার ভাল লেগেছে।
“আজ যেন আরও ভালো লাগছে। শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক আড্ডা, চড়ুইভাতি, নবীনবরণ—সব আয়োজনই ভাল লেগেছে। প্রাণভরে উপলব্ধি করছি আজকের ক্যাম্পাসের আনন্দ।”
ক্যাম্পাস ঘুরে চিত্রকলা প্রদর্শনী, পিঠা উৎসব প্রভৃতি সব অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে।
এই আনন্দের মধ্যে ক্যাম্পাস জীবনে শেষ বসন্তের সুর টানলেন দর্শন বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ফিরোজ আহমেদ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ক্যাম্পাস জীবনের এটাই আমার শেষ বসন্ত। যতটুকু পারা যায় বন্ধুদের নিয়ে আনন্দ করছি। ছবি তুলছি আর বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরছি।”