মঙ্গলবার বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জামালপুর জেলা সংসদ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
গত শুক্রবার সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের দেওয়ানীপাড়ায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে ওই এসএসসি পরীক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।
এ ঘটনায় ইউনিয়নের এক ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি ছাব্বির হোসেন আকন্দ সেতুসহ পাঁচ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন মেয়েটির মা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ধর্ষণের শিকার এসএসসি পরীক্ষার্থী ওই ছাত্রীর মায়ের দায়ের করা মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে তাদেরকে গ্রেপ্তার করছে না। এতে ওই ছাত্রীর পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
আসামিদের হুমকির মুখে ওই ছাত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও তারা জানান।
এছাড়া আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলার সকল আসামিকে গ্রেপ্তার না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করেন তারা।
শহরের দয়াময়ী চত্বরে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার সংগঠক জাহাঙ্গীর সেলিম, অভিভাবক মো. রফিকুল ইসলাম, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সহ-সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহম্মেদ খান মানিক, জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপতি আবু সাঈদ রিফাত, সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম খান সুজন ও সরকারি জাহেদা সফির মহিলা কলেজের ছাত্রী আফরিন খান।
এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জামালপুর সদর থানার পরিদর্শক মো. তরিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ জোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
অল্প সময়ের মধ্যে সকল আসামি গ্রেপ্তার হবে বলেও তিনি আশা করছেন।
স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ওই ছাত্রীর বাড়ি কেন্দুয়া ইউনিয়নের দেওয়ানীপাড়ায়। বিধবা মাকে সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার রাতে দেওয়ানিপাড়া মদিনাতুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে ওয়াজ মাহফিল শুনতে গিয়ে অপহৃত ও দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন বলে মেয়েটির মায়ের অভিযোগ।
এ ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি ছাব্বির হোসেন আকন্দ সেতুসহ পাঁচ যুবককে আসামি করে রোববার জামালপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
জামালপুর জেলা যুবলীগ ছাব্বির হোসেন আকন্দ সেতুকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করেছে।