তৈমুরের মেয়ে ব্যারিস্টার মার-ই-য়াম খন্দকার জানান, বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আনিছুর রহমান আরেকটি মামলায় তাকে জামিন দেন বলেও মার-ই-য়াম জানান।
পরে বিকালেই তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে বের হন। এ সময় বিএনপি নেতা-কর্মীরা সেখানে ছিলেন।
ব্যারিস্টার মার-ই-য়াম বলেন, তৈমুর উচ্চআদালত থেকে এক বছরের জন্য আন্তবর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। আরেকটি মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন।
উচ্চ আদালতে মার-ই-য়াম নিজেই শুনানি করেন জানিয়ে তিনি বলেন, এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন।
মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ শহরের চাঁদমারী এলাকা থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দুটি মামলায় তৈমুরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই দিনই তাকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে শুনানি শেষে বিচারক তাকে করাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অপর মামলায় নারায়ণগঞ্জের বিচারিক হাকিম মাহমুদুল মহসিন শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ শহরের নিতাইগঞ্জ এলাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি চলাকালে হামলা, ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে এসআই বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে তৈমুর আলমসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন।
তদন্ত শেষে তৈমুরসহ বিএনপির ৪৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। পরে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।