আ. লীগ নেতারা কলকাতায় ছিলেন: রিজভী

দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগ নিজেদের ক্ষতি ডেকে আনবে বলে মনে করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Dec 2017, 11:38 AM
Updated : 8 Dec 2017, 11:38 AM

শুক্রবার দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, সহায়ক সরকার দাবি পূরণ না করে যদি দলীয় সরকারের অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে চায় তাহলে তারা নিজেদের কবর নিজেরাই খুঁড়বে।

বিএনপিকে বাংলাদেশের প্রকৃত রণাঙ্গনের মুক্তিযুদ্ধের দল দাবি করে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা আওয়ামী লীগকে ইঙ্গিত করে বলেন, “মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারেননি বলে তাদের একটা অনুশোচনাবোধ কাজ করে। স্বাধীনতার সময় কে কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছে তা আমরা সবাই জানি। ইতিহাসেও আছে।

“আর আওয়ামী লীগ নেতারা কলকাতায় এন্টারটেইনমেন্ট সেক্টরে ছিলেন।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে বিএনপিকে নিয়ে যে বক্তব্য দেন তার প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বলেন, “উনিও তো যুদ্ধে যাননি। আমাদের দেশে নারীরা যুদ্ধে না গেলেও স্বামী-সন্তানকে যুদ্ধে পাঠিয়েছে। কিন্তু উনি তো তাও করেননি।”

সম্প্রতি দেশের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে বিদেশি একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে একটি খবর প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশে দুর্নীতি মামলায় বিচারের মুখে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে সৌদি আরবে।

বৃহস্পতিবার গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নে ওই প্রসঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রিজভী প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে বলেন, যাদের রাজনীতি ভাওতাবাজি, ধাপ্পাবাজি তাদের মুখে এমন বক্তব্য শোভন নয়। জনগণকে প্রতারণার মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় আসে। 

“১০ টাকা কেজি দরে জনগণকে চাল খাওয়াতে চেয়েছিল। সে কথা রাখেনি। এখন ২০ টাকা কেজি পেঁয়াজের মূল্য ১২০ টাকা।” 

দেশের চলমান নানা সংকট, বেকারত্ব, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংকট সমাধান না করে প্রধানমন্ত্রী প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে বিএনপি সম্পর্কে একটি ‘বিকারগ্রস্ত’ বক্তব্য দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন রিজভী। 

বর্তমান সরকার বিরোধী মতকে বন্ধ করতে গুম ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। ইতিহাস বলে এতেও রক্ষা হবে না এ সরকারের। সহায়ক সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে বলে তিনি মনে করেন।

বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ১০ ডিসেম্বর রাতে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভা দলীয় সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত হবে বলেও রিজভী জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, মোস্তাফিজুর রহমান, শফিকুল ইসলাম বেবু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।