বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের সভাকক্ষে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট প্রধানদের সঙ্গে সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করার সকল প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা আশা করছি ২১ ডিসেম্বর রংপুরবাসীকে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ একটি নির্বাচন উপহার দিতে পারব।
“নির্বাচনকে ঘিরে রংপুরে এখন উৎসবমুখর পরিবশে সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সেনাবাহিনী মোতায়েনের কোনো প্রয়োজন নেই।”
মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ থাকবে বলে জানান নূরুল হুদা।
নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন রোধে ২২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ২২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে দায়িত্ব পালন করছে জানিয়ে সিইসি বলেন, শুক্রবার থেকে ৩৩টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৩৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে থাকবে।
নির্বাচনের দিন চারস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিস্থি স্বাভাবিক রাখতে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার মোতায়েন থাকবে বলে জানান তিনি।।
এক প্রশ্নে জবাবে সিইসি নুরুল হুদা বলেন, “আমরা একটি ভোটকেন্দ্রে ডিজিটাল ভোটিং মেশিন (ডিভিএম) চালুর চেষ্টা করছি। তবে ভোটারদের সম্মতি গ্রহণ করে তা চালু করা হবে। এছাড়া একাধিক ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।”
এ সময় নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ হেলালুদ্দিন আহমদ, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কাজী হাসান আহমেদ, পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিনু শীল, রিটার্নিং ও রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানসহ আনসার ভিডিপি, বিজিবিও র্যাব কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিকালে সিইসি রংপুর জিলা স্কুল অডিটোরিয়ামে মেয়র, সংরক্ষিত নারী ও সাধারণ কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।