কক্সবাজারের কলাতলীর একটি হোটেলে সোমবার রোহিঙ্গাদের জন্য আওয়ামী লীগ নেতাদের দেওয়া টাকা জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তরের অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, “বিএনপির আসলে কোনো পুঁজি নেই; অর্থ-পুঁজি আছে। কথামালার চাতুরি ও স্ট্যান্টবাজি ছাড়া তাদের কোনো পুঁজি নেই। আগামী নির্বাচনে জেতার মতো বিএনপির কাছে কোনো ধরনের পুঁজি নেই।”
যত দিন যাচ্ছে, বিএনপির মধ্যে নেতিবাচক রাজনীতির চর্চা বাড়ছে মন্তব্য করে কাদের বলেন, “ক্রমাগত মিথ্যাচারের ভাঙা রেকর্ড বাজাতে বাজাতে বিএনপি এখন এমন অবস্থায় উপনীত হয়েছে, তারা নিজেরাও জানে আগামী নির্বাচনে না এলে মুসলিম লীগের মত করুণ পরিণতি অপেক্ষা করছে।”
তবে পাকিস্তানের স্বাধীনতার পর বাঙালির স্বাধীকারের দাবি যত জোরালো হয়েছে, মুসলিম লীগের জনপ্রিয়তা তত কমেছে। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে দলটি মাত্র আটটি আসন পায়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কাজ করেন এ দলের অনেক নেতা।
রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে কাদের বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া যদি কোনো কারণে বিলম্বিত হয়, সেজন্য বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে সরকার তাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছে।
“রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া খুব সহজ নয়। এ পর্যন্ত ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এখনও প্রতিদিন পাঁচ থেকে সাত শত করে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। এত মানুষকে খুব সহজে প্রত্যাবাসন সম্ভব নয়। তাই বিলম্বিত হতে পারে।”
এ সময় তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়েও কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, “পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে জনসংহতি সমিতির চেয়ারম্যান সন্তু লারমার সঙ্গে আমি কথা বলেছি। আমরা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তাদের সঙ্গে বসব। এতে শান্তিচুক্তির যেসব শর্ত বাস্তবায়ন হয়নি এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে; এগুলো আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
“এ ব্যাপারে আমি নিজেই প্রথমে তাদের সঙ্গে বৈঠক করব। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও এ ব্যাপারে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, আবদুর রহমান বদি, আশেক উল্লাহ রফিক ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুল হায়দার রোটন, ওসমান গণি এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে ছিলেন।