বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের উপপরিচালক আজমল হুদা মিঠু জানান, শুক্রবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে হিজলার ধূলখোলা লঞ্চঘাট সংলগ্ন ডুবোচরে আটকে পড়া নৌযানটিতে পাঁচ শতাধিক যাত্রী ছিল।
যাত্রীদের উদ্ধারে এমভি রাজপাখি, এমভি জনতা ও এমভি সোনালী নামের তিনটি লঞ্চ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, ঢাকা-বরিশাল নৌ রুটে দিবা সার্ভিস হিসেবে চলাচলকারী এ নৌযানটি সকাল সাড়ে ৮টায় যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে আসে।বিকাল সাড়ে ৩টায় যাত্রী নিয়ে পুনরায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল।
ওই নৌযানে থাকা যাত্রী লেখক হেনরি স্বপন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, দুপুর আড়াইটার মধ্যে তাদের বরিশাল ঘাটে পৌঁছানোর কথা।
“সন্ধ্যা পর্যন্ত নৌযানটি উদ্ধারে কেউ না আসায় অনেক যাত্রী ব্যক্তিগত উদ্যোগে গন্তব্যের উদ্দেশে চলে গেছেন।”
তবে নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান স্বপন।
বরিশাল নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত সুপার আব্দুল মোতালেব বলেন, “যাত্রীদের নিরাপত্তায় নৌ পুলিশের দুইটি টিম কাজ করছে। এছাড়া যাত্রীরা সারা দিন না খেয়ে আছে। তাই পুলিশের পক্ষ থেকে যাত্রীদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে।”
একাধিকবার ফোন করা হলেও মোবাইল রিসিভ না করায় গ্রীন লাইন কর্তৃপক্ষের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।