পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনায় গঙ্গাচড়া থানার এসআই রেজাউল করিম ও কোতোয়ালি থানায় এসআই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে দুটি করেছেন। এসব মামলায় দুই হাজারের বেশি লোককে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫৩ জনকে।
এক হিন্দু যুবকের বিরুদ্ধে ফেইসবুকে ‘ধর্ম অবমাননার’ অভিযোগ ওঠার পর শুক্রবার বিকালে জেলার সদর উপজেলার ঠাকুরপাড়া গ্রামে কয়েক হাজার মানুষ হিন্দুবাড়িতে হামলা চালায়।
তাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে হাবিবুর রহমান (৩০) নামে একজন মারা যান।আহত হন আরও অন্তত ১১ জন। সংঘর্ষের মধ্যেই কয়েকটি বাড়িতে আগুন দেয় হামলাকারীরা।
ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু রাফা মো. আরিফকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশেষ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিয়াউর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তাৎক্ষণিকভাবে দুই বান্ডেল করে টিন ও তিন হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে। আর বাড়িঘর তৈরির জন্য প্রশাসন সব খরচ বহন করবে।
রাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
পুলিশ কর্মকর্তা সাইফুর রহমান বলেন, সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ অন্য দোষীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।