ব্রির মহাপরিচালক মো. শাহজাহান কবীর জানান, কৃষি সচিব মো. মইন উদ্দিন আব্দুল্লাহ বুধবার কৃষি মন্ত্রণালয়ে ‘ব্রি ধান ৮১’ নামের এ ধান অবমুক্ত করেন।
“এ নিয়ে ব্রি উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ধান জাতের সংখ্যা হলো ৮৬টি। এর মধ্যে ইনব্রিড জাতের ধানের সংখ্যা ৮০ এবং হাইব্রিড ধানের সংখ্যা ছয়।”
দেশের আশি ভাগের বেশি ধানি জমিতে এসব ধান জাতের চাষ হয় এবং এ থেকে দেশের মোট ধান উৎপাদনের শতকরা ৯১ ভাগের বেশি আসে বলে তিনি জানান।
মহাপরিচালক শাহজাহান আরও জানান, ইরান থেকে সংগৃহীত জাত ‘Amol-3’ এর সঙ্গে ‘ব্রি ২৮’ এর সংকরায়ণের মাধ্যমে নতুন জাত ‘ব্রি ধান ৮১’ উদ্ভাবন করা হয়েছে।
“ব্রি ধান ৮১ বোরো মওসুমের জনপ্রিয় জাত ব্রি ২৮ এর একটি পরিপূরক জাত। এটি প্রতিকূল পরিবেশে ঢলে পড়া প্রতিরোধী। এ জাতের ধানের জীবনকাল ১৪০-১৪৫ দিন।”
এ জাতের এক হাজার পুষ্ট ধানের ওজন প্রায় ২০ দশমিক ৩ গ্রাম জানিয়ে তিনি বলেন, “ব্রি ধান ৮১ তে অ্যামাইলোজ রয়েছে শতকরা ২৬ দশমিক ৫ ভাগ এবং উচ্চ মাত্রার (১০ দশমিক ৩ শতাংশ) আমিষ রয়েছে।”
এর চালের আকার লম্বা ও চিকন হওয়ায় ব্যাপক জনপ্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তাদের ধারণা।
রান্নার পর এর ভাত ১ দশমিক ৬ গুণ লম্বা হয়। সুগন্ধ ছাড়া উন্নত গুণমানসম্পন্ন ধানের সকল বৈশিষ্ট্যই বিদ্যামান থাকায় এটি রপ্তানি সম্ভাবনাময় বলেও তারা মনে করেন।
নতুন উদ্ভাবিত জাতটির গড় ফলন হেক্টরে ৬ থেকে সাড়ে ৬ টন। উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে এটি হেক্টরে ৮ টন ফলন দিতে সক্ষম বলেও জানান মহাপরিচালক শাহজাহান।