সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চাকই গ্রামের ইদ্রিস শেখের মেয়ে স্বর্ণালী বেগম বাদী হয়ে রোববার নড়াইলের একটি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
বাদীর আইনজীবী মো. আজিজুল ইসলাম জানান, বিচারক মো. জাহিদুল হাসান মামলাটি গ্রহণ করে বিচার বিভাগীয় তদন্তপূর্বক আগামী ১৫ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন বিছালী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্য এস আই খায়রুল ইসলাম, বিছালী ইউপি চেয়ারম্যান আনিচুর রহমান, স্থানীয় মামুন শেখ, জুয়েল শেখ, এরশাদ বিশ্বাস, মাজেদ শেখ, লাবলু শেখ, মনিরুল মল্লিকসহ অজ্ঞাত পরিচয় ১০/১২ জন, যাদের মধ্যে ৫/৬ জন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান অনিচুর রহমানের সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ রিয়াজ আলীর বিরোধ চলে আসছিল।
এ কারণে গত ১ অক্টোবর মির্জাপুর গ্রামের মুরাদ শেখের ছেলে চেয়ারম্যানের সমর্থক জুয়েল শেখকে প্রতিপক্ষের লোকজন মারধর করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগ করা হয়, এর জেরে আসামিরা বাদীর বাবা বাড়িতে গিয়ে তাকে না পেয়ে ভাংচুর চালায় এবং নগদ টাকা ও মোটরসাইকেল নিয়ে যায়।
আসামিরা এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় এবং থানা মামলা গ্রহণ না করায় মামলাটি দায়েরে বিলম্ব হয়েছে বলেও অভিযোগে বলা হয়।
মামলার অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান আনিচুর রহমান বলেন, “মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।”