রোববার উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ওই নারীর মৃত্যু হয় বলে পাটকেলঘাটা থানার ওসি মোল্লা জাকির জানান।
মৃত মুন্নি খাতুন (২৫) উপজেলার খলিশখালি ইউনিয়নে বাগমারা গ্রামের মুছা গাজীর স্ত্রী।
স্ত্রীর মৃত্যুর পর সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পালিয়ে গেছেন মুছা।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ফরহাদ জামিল বলেন, ওই গৃহবধূর শরীরের ৭৫ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে নেওয়া হচ্ছিল।
মৃত্যুর আগে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুন্নি খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, প্রায় ৫ মাস আগে তার একটি ছেলে হয়। এরপর থেকে মুছা দ্বিতীয় বিয়ে করার অনুমতি চেয়ে তাকে মারধর শুরু করে এবং বাবার বাড়ি চলে যেতে বলেন।
“এর জেরে শনিবার রাতে কথাকাটির পর তাকে মারধর করেন মুছা। এরপর ঘুমের মধ্যে মুছা তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। আত্মরক্ষার চেষ্টার সময় ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তার শরীর কিছুটা পুড়ে যায়।”
তার আর্তচিৎকারে এলাকাবাসী এসে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে বলে মুন্নি জানিয়েছিলেন।
ওসি জাকির বলেন, মুছাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।