তাদের মধ্যে ১১ জন শিশু ৬ জন নারী এবং তিনজন পুরুষ; হাসিনা (৩৫) নামে আহত এক নারী ছাড়া আর বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
বুধবার বিকালে সিংগাইরের চারিগ্রাম ও ধল্লা এলাকায় তাদের আটকের পর পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে মানিকগঞ্ পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, তাদের সিংগাইর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে শুক্রবার তাদের কক্সবাজার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
রাতে মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওই স্কুলের তিন তলার একটি কক্ষে তাদের রাখা হয়েছে; গণমাধ্যম কর্মীদের ভেতরে ঢুকতে ও ছবি তুলতে দেওয়া হচ্ছে না।
তবে রেহিঙ্গা পরিবারগুলোকে দেখতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভীড় করেন স্থানীয়রা। অনেকেই খাবার ও নগদ অর্থ দিয়ে তাদের সহযোগিতা করেন।
আটক রোহিঙ্গারা জানান, তারা সবাই মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের মংডু জেলার মন্ডুকাদেরবিল গ্রামের। বাড়ি-ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার পর প্রাণভয়ে পালিয়ে আসেন তারা। দৌড়ানোর সময় ওই নারীকে সোনাবাহিনী গুলি করে। গুলিটি তার হাতে লাগে। পরে কক্সবাজারের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয় ওই নারীকে।
সমুদ্র পথে পার হয়ে তারা টেকনাফ সীমান্তে আসেন। সেখান থেকে সড়ক পথে ঢাকায় এবং পরে মানিকগঞ্জের সিংগাইরে পৌঁছেন। পরিচিত সৌদি আরবে সিঙ্গাইরের এক প্রবাসীর সঙ্গে সেখানে থাকা তাদের এক স্বজনের মাধ্যমে যোগাযোগের পর তারা সিংগাইরে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেন তারা।