টাঙ্গাইলের কালিহাতী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শুক্রবার রাত ২টার দিকে টাঙ্গাইলের নাটিয়াপাড়া ও ভাতকুড়া এলাকার বাসাইল লিংকরোড়ের কাছে যান বিকল হওয়ায় এই জট সৃষ্টি হয়।
সকাল সাড়ে ৫টায় টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে রসুলপুর পর্যন্ত প্রায় ছয় কিলোমিটারে সরেজমিনে ঘুরে সব যানবাহনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
আর ৬টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড় থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটারে গাড়িগুলোকে থেমে থেমে চলতে দেখা গেছে।
এ সময় অনেক যাত্রী জানিয়েছেন, তারা রাত ২ থেকে রাস্তায় আটকে রয়েছেন।
মির্জাপুরে বাস থেকে নেমে দাঁড়িয়ে থাকা আমিনা বেগম নামের এক যাত্রী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তিন ঘণ্টা ধরে একই জায়গায় আটকা পড়ে রয়েছি। শিশুসন্তান নিয়ে বাস থেকে নেমে দাঁড়িয়ে আছি।”
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় সিরাজগঞ্জ থেকে মালবোঝাই ট্রাক নিয়ে রওনা হয়েছেন বলে জানালেন তুহিন নামে একজন ট্রাকচালকের সহকারী।
তিনি বলেন, “রাত ১২টার মধ্যে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা। অথচ সকাল সাড়ে ৭টায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌঁছাতে পেরেছি।”
চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় প্রায় ৭০ কিলোমিটার সড়কেও যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলতে পারেনি বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মাহবুব আলম।
তিনি বলেন, কোথাও কোথাও থেমে থেমে চলেছে, কোথাও কোথাও কিছুক্ষণের জন্য অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে।
রাস্তায় খানাখন্দ, দুটি গাড়ি বিকল হওয়া, আর অতিরিক্ত গাড়ির চাপে এ অবস্থা তৈরি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ সড়কের ধারণক্ষমতা ১৪-১৫ হাজার, কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় চলাচল করেছে প্রায় ২৬ হাজার গাড়ি। তবে পুলিশ জট ছাড়াতে কাজ করছে।
সকাল ৮টার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে বলে তিনি জানান।