এ অভিযোগে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে শুক্রবার সখীপুর থানায় মামলা করেছেন বলে জানান টাঙ্গাইলের এএসপি (সখীপুর সার্কেল) আশরাফ-উল-ইসলাম।
মামলার একমাত্র আসামি হলেন উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি বড়চওনা গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে আবুল হাশেম লিটন (৪৫)।
নবম শ্রেণির এই মেয়েটি প্রায় পাঁচ মাসের (১৯ সপ্তাহ) অন্তঃসত্ত্বা বলে মামলায় বলা হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ফেব্রয়ারি মাসের শেষ দিকে বিকালে মেয়েটি প্রতিবেশী লিটনের বাড়ি বেড়াতে যায়। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে লিটন কৌশলে তাকে ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ওই মেয়েটির কাপড় খুলে মোবাইল ফোনে ছবি ও ভিডিও ধারণ করে লিটন।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, ভিডিওটি ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া এবং মেয়েটির বাবা-মাকে হত্যা করার হুমকি দিয়ে লিটন তাকে নিয়মিত ধর্ষণ করত। এতে মেয়েটি প্রায় পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
মেয়েটির বাবা বলেন, বিষয়টি জানাজানি হলে লিটন তাদের পরিবারকে মামলা না করার হুমকি-ধমকি দেয়।
সখীপুর থানার ওসি মো. মাকছুদুল আলম বলেন, মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। আসামি লিটনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শনিবার মেয়েটিকে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।
এ ব্যাপারে এএসপি আশরাফ-উল-ইসলাম বলেন, “চলতি বছরের জানুয়ারির ৩০ তারিখে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তাদের বিয়ের একটি কাগজ আমাদের হাতে এসেছে। তাই এ মামলাটি আমরা তদন্ত শুরু করেছি।”
আসামি লিটনকে গ্রেপ্তার করতে সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।