রূপার লাশ সিরাজগঞ্জে নিয়ে পুনরায় দাফন

‘চলন্ত বাসে ধর্ষণের’ পর খুন হওয়া জাকিয়া সুলতানা রূপার লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে টাঙ্গাইলে দাফনের ছয় দিন পর কবর থেকে তুলে সিরাজগঞ্জে পুনরায় দাফন করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 August 2017, 04:00 PM
Updated : 31 August 2017, 04:00 PM

রূপার বড় ভাই হাফিজুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার আসানবাড়ি গ্রামে জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে তাকে পুনরায় দাফন করা হয়।

এর আগে বিকালে টাঙ্গাইলের কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে লাশ তুলে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে প্রশাসন। সন্ধ্যায় সোয়া ৬টার দিকে তারা লাশ নিয়ে আসানবাড়ি গ্রামে পৌছান।

পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য গাজী ম ম আমজাদ হোসেন মিলন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম ফেরদৌস ইসলাম, স্থানীয় বারুহাস ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন শোকাহত বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।

আর আগামী কাল শুক্রবার নিহতের পরিবারের স্বজনদের পাশে দাঁড়াতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ওই বাড়িতে আসবেন বলে জানিয়েছেন সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন।

ছোঁয়া পরিবহনের একটি বাসে করে গত ২৫ অগাস্ট রাতে সিরাজগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে বাসের কর্মচারীরা রূপাকে পালাক্রমে ধর্ষণের পর ঘাড় মটকে হত্যা করে রাস্তার পাশে লাশ ফেলে যায়।

টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের পাশে মধুপুর উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকায় তার লাশ পাওয়ার পর হত্যার আলামত থাকায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে মধুপুর পুলিশ।

পরিচয় জানতে না পারায় ময়নাতদন্ত শেষে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে বেওয়ারিশ হিসেবে তাকে দাফন করা হয়।

গণমাধ্যমে লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে মধুপুর থানায় গিয়ে ছবি দেখে রূপাকে শনাক্ত করে তার পরিবার। পরে রূপার বড় ভাই হাফিজুর রহমান ছোঁয়া পরিবহনের শ্রমিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

রূপার বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশে। ঢাকার আইডিয়াল ল কলেজে পড়ালেখা করার পাশাপাশি একটি কোম্পানির প্রোমশনাল ডিভিশনে কাজ করছিলেন তিনি। তার কর্মস্থল ছিল ময়মনসিংহ জেলা সদরে।

বগুড়ায় শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার পর ময়মনসিংহে ফেরার পথে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হন তিনি।

এ ঘটনায় ওই বাসের চালক, সুপারভাইজার, সহকারীসহ পাঁচজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তারা সবাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।