চলন্ত বাসে ‘ধর্ষণের পর হত্যা’: ৩ জনের স্বীকারোক্তি

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যায় গ্রেপ্তার পাঁচজনের মধ্যে তিনজন অপরাধ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 August 2017, 03:32 PM
Updated : 29 August 2017, 03:50 PM

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আমিনুল ইসলাম, গোলাম কিবরিয়া ও মো. শামছুল হক আলাদাভাবে তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন বলে জানান মধুপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম।

এরা হলেন বাস চালকের সহকারী শামীম, আকরাম ও জাহাঙ্গীর। জবানবন্দি নিয়ে রাতেই তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তার অন্য দুজন বাসের চালক হাবিব ও সুপারভাইজার সফরকে নিয়ে খুন হওয়া জাকিয়া সুলতানা রূপার ওড়না, জুতা ও ভ্যানিটিব্যাগ উদ্ধারে অভিযান চালানো হচ্ছে।

এ পাঁচজন মিলেই চলন্ত বাসে চার দিন আগে মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছিলেন বলে জানান ওসি।

নিহত রূপার বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশে। ঢাকার আইডিয়াল ল কলেজে পড়ালেখা করার পাশাপাশি একটি কোম্পানির প্রোমশনাল ডিভিশনে কাজ করছিলেন তিনি। তার কর্মস্থল ছিল ময়মনসিংহ জেলা সদরে।

ছোঁয়া পরিবহনের একটি বাসে করে শুক্রবার রাতে সিরাজগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে নির্যাতন ও হত্যার শিকার হন রূপা। চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়।

শনিবার লাশ উদ্ধার করে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন ও একটি অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা করে পুলিশ।

গণমাধ্যমে লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে সোমবার রাতে মধুপুর থানায় গিয়ে ছবি দেখে রূপাকে শনাক্ত করে তার পরিবার। পরে রূপার বড় ভাই হাফিজুর রহমান ছোঁয়া পরিবহনের শ্রমিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।