জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ সানাউল্লাহ মঙ্গলবার তাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ ফুল বিক্রেতা টুটুল হোসেনের।
আহত টুটুলকে মেহেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান মেহেরপুর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আরিফুল এনাম বকুল।
এই ঘটনায় বিচার দাবি করে মেহেরপুর মুখ্য বিচারিক হাকিম বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন টুটুল।
টুটুল অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার বিকালে একজন ক্রেতা বিবাহবার্ষিকীর কাজ নিয়ে দোকানে আসেন। এ সময় তিনি দেরি হবে বললে ক্রেতা নিজেকে জ্যেষ্ঠ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সানাউল্লাহ পরিচয় দিয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান।
“এর কিছুক্ষণ পরে মেহেরপুর সদর থানার এসআই রফিক আমাকে ধরে নিয়ে যান।সেখানে বিচারক তার খাস কামরায় আমাকে মারধর করে আহত করেন।”
পরে ব্যবসায়ী নেতারা বিচারকের খাস কামরা থেকে তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে বলে জানান তিনি।
ফুল বিক্রেতাকে ধরে নেওয়ার বিষয়ে এসআই রফিক বলেন, সদর থানার ওসির নির্দেশে তিনি ফুল বিক্রেতাকে ধরে নিয়েছেন।
নির্দেশ দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে ওসি রবিউল ইসলাম বলেন, “শহরে এক ফুল বিক্রেতার সঙ্গে বিচারকের দ্বন্দ্বের কথা শুনি। পরবর্তীতে বিচারক নির্দেশ দিলে আমরা তা তামিল করতে বাধ্য হই।”
এদিকে মারধরের ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে ফুল বিক্রেতাকে হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নিতে যান হাকিম। সেখানে গেলে বিক্ষুব্ধদের তোপের মুখে পুলিশ প্রহরায় হাসপাতাল থেকে চলে যান তিনি।
এ সময় বিচারকের সঙ্গে কথা বলে চাইলে তিনি কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
এ ঘটনায় মেহেরপুর শহরের ব্যবসায়ীরা আগামীকাল মানববন্ধন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন।