বৃহস্পতিবার খুলনা মহানগর দায়রা জজ অরূপ কুমার গোস্বামী মামলার রায় ঘোষণা করে এ আদেশ দেন।
খুলনা জজ আদালতের অ্যাডভোকেট সুজিত সাহাকে এ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডিত আসামিরা হলেন বিপ্লব হোসেন হাওলাদার (২৫) ও শাহিন হাওলাদার। সুজিত সাহা শাহিন হাওলাদারের আইনজীবী।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী আবুল কালাম আজাদ মামলার নথির বরাত দিয়ে জানান, খুলনা নগরীর খানজাহান আলী থানার একটি মাদক মামলার দুই আসামিকে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করার সময় বিপ্লব আদালতে উপস্থিত ছিলেন; কিন্তু শাহিন হাওলাদার পলাতক রয়েছেন।
বেঞ্চ সহকারী আজাদ জানান, বৃহস্পতিবার সকালে শাহিন হাওলাদারের পক্ষে অ্যাডভোকেট সুজিত সাহা আদালতে সময়ের প্রার্থনা করেন। আদালত তা নাকচ করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
“পাশাপাশি রায়ের সময় শাহিন হাওলাদারকে আদালতে হাজির করতে ব্যর্থ হওয়ায় তার আইনজীবী সুজিত সাহাকে এ কারণ দর্শানোর নোটিশ জারির আদেশ দেয়।”
ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা আগামী ছয় কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা করা বলা হয়েছে আদেশে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২ জুন নগরীর ফুলবাড়ি গেটস্থ কুয়েট রোডে অভিযান চালিয়ে একটি মাহেন্দ্র থ্রি হুইলার গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৪৩০ বোতল ফেন্সিডিলসহ বিপ্লব ও শাহিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরেশ চন্দ্র হালদার বাদী হয়ে বিপ্লব, শাহিন ও রকির বিরুদ্ধে খানজাহান আলি থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের করেন।
ওই বছরের ৩১ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোবাশ্বের আলি আদালতে রকিকে বাদ দিয়ে বিপ্লব ও শাহিনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি সুলতানা রহমান শিল্পি ও এপিপি কামরুল হোসেন জোয়ার্দ্দার। আসামি বিপ্লবের পক্ষে ছিলেন অ্যাডবোকেট আলিম আল বাকী।