বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষ চলাকালে হাতবোমার বিস্ফোরণও ঘটে।সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর জাকির হাওলাদার ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির মোল্লাকে ফরিদপুর মেডিকের কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।বাকিদের নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে বলে মাদারীপুর সদর মডেল থানা পুলিশ জানিয়েছে।
যুবলীগ-ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্ট নেতা-কর্মী ও স্থানীয়রা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী মোল্লা ও খোয়াজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোহম্মদ আলী মুন্সীর সমর্থকদের মধ্যে গত ২ এপ্রিল সংঘর্ষ হয়।
ওই সময় চেয়ারম্যান মোহম্মদ আলী মুন্সীকে কুপিয়ে আহত করা হয়। সেই সময় তেকে হাসপাতালে ছিলেন তিনি। গত সোমবার তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান।
এলাকায় মেহেদী মোল্লা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিমের এবং মোহম্মদ আলী মুন্সী নৌমন্ত্রী শাহজাহান খানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
ওই সময় দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও সংঘর্ষ শুরু হয়।
জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জাহিদ হোসেন অনিক বলেন, সংঘর্ষে পৌর যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর জাকির হাওলাদার ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির মোল্লাসহ অন্তত পাঁচ জন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
জাহিদ হোসেন অনিক বাহাউদ্দিন নাসিমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
অনিক বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মানবন্ধন কর্মসূচী পালন শেষ করার পর আমাদের নেতাকর্মীদের উপরে অতর্কিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে।”
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি জিয়াউল মোর্শেদ বলেন, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের একাংশের মানববন্ধন চলাকালে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ ও র্যাব বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
সংঘর্ষে ১০ রাউন্ড টিয়ার গ্যাস শেল নিক্ষেপ করা হয় বলে জানান তিনি।