টঙ্গী থানার ওসি ফিরোজ তালুকাদার জানান, টঙ্গীর খরতৈল এলাকায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনার শিকার শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক প্রণয় কুমার দাস জানান, ধর্ষণের প্রাথমিক আলামত পাওয়া গেছে; গাইনী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বিস্তারিত বলা যাবে।
খরতৈল এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে মা বাবার সঙ্গে থাকে মেয়েটি। তার বাবা রিকশাচালক এবং মা স্থানীয় পোশাক করাখানায় কাজ করেন বলে পুলিশ জানায়।
আটক মাহফুজ (২০) ওই এলাকার খায়রুল ইসলামের ছেলে। ওই একই বাড়িতে ভাড়া থাকেন তিনি।
শিশুটির বাবা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সকালে তার মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে তিনি ও তার স্ত্রী কাজে বেরিয়ে যান। এই সুযোগে ওই বাড়ির অন্য ভাড়াটিয়া মাহফুজ তার মেয়েকে ডেকে তার ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
পরে মেয়েটির চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে গেলে মাহফুজ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করে বলে জানান তিনি।
তিন আরও জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থল থেকে মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে গাজীপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
টঙ্গী থানার ওসি ফিরোজ তালুকাদার জানান, মাহফুজকে আটক করা হয়েছে; তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।