শুক্রবার মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম ফরিদ উদ্দিন এ কথা জানান।
তিনি বলেন, অনিয়মের অভিযোগে মঠবাড়িয়ার মুক্তিযোদ্ধা বাছাই কমিটির সদস্য শরীফ মো. আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন।
“বিচারক সৈয়দ মুহাম্মদ দস্তগীর হোসাইন ও মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ বাছাই কার্যক্রমে তিন মাসের স্থগিতাদেশ দেয়।”
গত ১১ ফেব্রুয়ারি মঠবাড়িয়ায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে ৭২০ জন তালিকাভুক্ত আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকার শুরু হয়।
এদিকে উচ্চ আদালতে করা ওই রিট আবেদনটি ভুয়া দাবি করে শুক্রবার বিকালে সংবাদ সম্মেলনে করেছেন মঠবাড়িয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার ও মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির আহ্বায়ক মো. বাচ্চু মিয়া আকন।
তবে এ সংবাদ সম্মেলনে বাদী শরীফ মো. আলমগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন না।
সংবাদ সম্মেলনে মো. বাচ্চু মিয়া লিখিত বক্তব্যে বলেন, “স্বার্থন্বেষী একটি মহল বাছাই কমিটির সদস্য শরীফের স্বাক্ষর জাল করে রিট আবেদন করেন, যা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রমকে বিতর্কিত করার জন্য করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।”
বাদী শরীফের পক্ষে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন বলেও দাবি করেন কমান্ডার আকন।
তবে বাদীর আইনজীবী কে তা নিয়ে কিছু জানাতে পারেননি সংবাদ সম্মেলনকারী এ কমান্ডার।
এ নিয়ে মামলার বাদী শরীফ মো. আলমগীরকে ফোন করা হলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি অসুস্থতার জন্য সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলাম না। এ রিট আবেদনে আমি স্বাক্ষর করিনি।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এমাদুল হক খান, মোস্তফা শাহ আলম দুলাল, লুৎফর রহমান, মজিবর রহমান মুন্সি, গোলাম রহমান কামাল ও শাহদাৎ হোসেন কামাল।