রোববার সকালে গণসংযোগে নেমে সদ্য বিদায়ী এই মেয়র সাংবাদিকদের বলেন, তিনি বেশি রকমের ‘কনট্রাডিকটরি’ কাজ করাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগই নয়, ওই এলাকার জনগণেরও দাবি ওসিকে পরিবর্তন করা হোক।
তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরুজ্জামান তালুকদার বলেছেন, কমিশনের কাছে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি, করলে তা ‘খতিয়ে দেখা হবে’।
সরকারি দল হিসেবে কোনো রকম ‘পক্ষপাতিত’ ও ‘ফেভার’ চান না বলে নিজের আগের বক্তব্য পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, “নারায়ণগঞ্জে একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে নৌকার বিজয় নিশ্চিত।
“আমি একটাই কথা বলব, যত পক্ষেরই আলোচনা হোক না কেন, তৃতীয়-চতুর্থ পক্ষ হোক না কেন, ইসি যদি শক্ত ভূমিকা পালন করে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি তৎপর থাকে তাহলে কারও কোনো ক্ষমতা নেই এখানে কলকাঠি নাড়ায়।”
শামীম ওসমানকে ইঙ্গিত করে জেলা আওয়ামী লীগের এ সহসভাপতি বলেন, “উনি সংসদ সদস্য, উনি চাইলেই আমার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না আইনি বাধার কারণে। তবে তৃণমূল থেকে উচ্চ পর্যায়ের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ আওয়ামী লীগের প্রতিটি ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা আমার সঙ্গে রয়েছেন।”
ওসির পরিবর্তন সংক্রান্ত আইভীর অভিযোগ সম্পর্কে নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরুজ্জামান তালুকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওসি পরিবর্তনের বিষয়ে আমার কাছে কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। বিষয়টি আপনার কাছ থেকে জানতে পারলাম। যদি আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয় সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, “উনি তো লিখিত আকারে কোনো অভিযোগ দেননি। এছাড়া বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হবে। নির্বাচনীকালীন সবকিছু কমিশনের আওতাধীন থাকে।”
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মুহা. সরাফত উল্লাহর সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।