এই সাতজনের পরিবারের দাবি, তাদের গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে এই বিষয়ে কিছু বলতে পারছেন না কারা ও পুলিশ কর্মকর্তারা।
গত ১০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান চার বছরের সাজাপ্রাপ্ত ওই সাতজন।
তারা হলেন- ঝালকাঠীর নলছিটি উপজেলার মো. বাকি বিল্লাহ, মো. নূরুল ইসলাম, মো. সোহাগ, মো. যোবায়ের, আবুল বাশার মৃধা, সিরাজুল ইসলাম ও মিনহাজুল আবেদনী।
রোববার বরিশাল প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের পরিবারের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সন্দেহের কথা জানিয়ে তাদের উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
নিখোঁজ বাকি বিল্লাহ’র বড় ভাই খায়রুল বাশার বলেন, জামিনপ্রাপ্তরা কারাগার থেকে মুক্তির আগেই কারাফটকের সামনে কালো গ্লাসের দুটি গাড়ি অবস্থান করছিল।
“তারা কারাগার থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই তাদের ঝালকাঠীর ডিবি পুলিশ পরিচয়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।”
ঝালকাঠীর নলছিটি এবং বরিশালে কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি দায়ের করতে গেলেও পুলিশ তা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ বাশারের।
বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে তত্ত্বাবধায়ক (জেল সুপার) মো. কামাল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জিজ্ঞাসায় বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে ৭ জনকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।
“কারাফটকের বাইরে কী ঘটনা ঘটেছে, তা আমাদের জানা নেই।”
এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ঝালকাঠীর পুলিশ সুপার জোবায়েদুর রহমান ও বরিশাল রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত ডিআইজি আকরাম হোসেন কেউই।
২০১৩ সালের ১৪ অগাস্ট রাতে ঝালকাঠীর নলছিটি উপজেলার কামদেবপুর মাদ্রাসা থেকে আটক হয়েছিল এই সাতজনকে। তাদের কাছে বিস্ফোরক দ্রব্য, ধারালো অস্ত্র ও জিহাদি বই পাওয়া যায়।
এবছরের জুনে সাত আসামিকে ৪ বছর করে কারাদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত।