উপমন্ত্রীর উপস্থিতিতে নেত্রকোণা মহিলা আ. লীগের সম্মেলনে মারামারি

যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ের উপস্থিতিতে নেত্রকোণা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।

নেত্রকোণা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Sept 2016, 01:44 PM
Updated : 23 Sept 2016, 02:32 PM

শুক্রবার শহরের মোক্তারপাড়ায় পাবলিক হলে এ ঘটনায় স্থানীয় দুই সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আছমা জেরিন ঝুমু এ ঘটনার জন্য উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়কে দায়ী করলেও তিনি তা অস্বীকার করেছেন।

আহত প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি পল্লব চক্রবর্তীকে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর সাংবাদিক দৈনিক ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি শ্যামলেন্দু পাল প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

বেলা ১২টার দিকে সম্মেলন শুরু হওয়া সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য পিনু খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আছমা জেরিন ঝুমু, দপ্তর সম্পাদক কামরুননেছা মান্নান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিয়র রহমান খান, যুগ্মসম্পাদক নজরুল ইসলাম খান, মন্ত্রী আরিফ খান জয়ের বড়ভাই ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক নূর খান মিঠু।

অতিথিদের বক্তব্য শেষে নতুন কমিটির সভাপতি, সম্পাদকসহ চারজনের নাম ঘোষণা করেন আছমা জেরিন ঝুমু।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কমিটি ঘোষণার পর উপস্থিত নেতাকর্মীদের একটি অংশ নতুন কমিটি না মানার স্লোগান দিয়ে ভাংচুর শুরু করেন। তারা সম্মেলনস্থলে থাকা চেয়ার ভাংচুর করেন।

এ সময় ভীত সন্ত্রস্ত নারীরা দৌড়ে পালান। উপস্থিত সাংবাদিকদের মধ্যে পল্লবকে চেয়ার দিয়ে মারলে তিনি আহত হন। এছাড়া শ্যামলেন্দুর হাত সামান্য কেটে যায় বলে উপস্থিত সাংবাদিকরা জানান। 

কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আছমা জেরিন ঝুমু অভিযোগ করেন, তিনি নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করার পর উপমন্ত্রী জয় চিৎকার দিয়ে বলে ওঠেন-‘এই কমিটি হবে না, মানি না।’

“সাথে সাথে তার ভাই নূর খান মিঠু, নেত্রকোণা পৌরসভার কাউন্সিলর শেখ হেলালসহ অনুসারীরা হট্টগোল শুরু করেন। এ সময় সম্মেলন স্থলে চেয়ার ছুড়তে শুরু করে বাইরের কিছু ভাড়াটিয়া মাস্তান।”

হামলা ভাংচুরে ইন্ধনের অভিযোগ অস্বীকার করে আরিফ খান জয় বলেন, ‘অগণতান্ত্রিকভাবে’ সম্মেলনে কাউন্সিলরদের মতাতমত ছাড়াই কমিটি ঘোষণা করায় সম্মেলন স্থলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা হয়েছে।

“আমি হামলার ঘটনায় জড়িত নই। আমি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় বড় কোনো ঘটনা হয়নি।”

পরে এই উপমন্ত্রী জেলা প্রেসক্লাবে গিয়ে সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং দায়ীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি দেওয়ার আশ্বাস দেন।

নেত্রকোণা মডেল থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান জানান, এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।