সোমবার উপজেলার বেথুড়ী ইউনিয়নের রামদিয়া খাদ্য গুদামে চেয়ারম্যান ও সদস্যদের উপস্থিতিতে এ চাল বিতরণ করা হয়।
ভিজিএফের সুবিধাভোগীদের জনপ্রতি ২০ কেজি চাল দেওয়ার কথা থাকলেও তাদের ছয় থেকে সাত কেজি কম দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন। তবে সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বেথুড়ী ইউনিয়নের রামদিয়া বেপারীপাড়ার চায়না বেগম বলেন, ঈদ উপলক্ষে এ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে ৯৭টি ভিজিএফের কার্ড বরাদ্দ দেওয়া হয়। জনপ্রতি ২০ কেজি চাল দেওয়ার কথা থাকলেও চেয়ারম্যান, মেম্বাররা তাদের ১৩/১৪ কেজি করে চাল দিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেথুড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন মিয়া বলেন, “চাল কম দেওয়ার অভিযোগ সত্য নয়। বিতরণের দায়িত্ব আমি মেম্বারদের দিয়েছিলাম। তবে মহিলা মেম্বার রওশন আরা বেগম পাঁচ কেজি করে রেখে দিয়েছেন।”
অভিযোগ অস্বীকার করে রওশন আরা বেগম বলেন, “১ নম্বর ওয়ার্ডের সব গরিব ও দুঃস্থদের মাঝে সমানভাবে চাল বিতরণের জন্য চাল কম দেওয়া হয়েছে।”
ইউপি সদস্য আজিবর মোল্লা বলেন, “আমার ওয়ার্ডে চাহিদার তুলনায় মাত্র ৯৭টি ভিজিএফের কার্ডের চাল বরাদ্দ পেয়েছি। তাই দুজনের চাল ভাগ করে তিন জনকে দেওয়ার জন্য চাল কম দেওয়া হয়েছে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, “চাল বিতরণে অনিয়মের কথা শুনেছি। তবে চাল বিতরণের সময় আমাকে জানানো হয়নি। এ কারণে সেখানে আমার কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিল না।
তবে তদন্ত করে এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।