মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শরীফ উদ্দিন আহমেদ আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত মো. নাসির উদ্দিন টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার কাইতকাই গ্রামের মেসের আলীর ছেলে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের জুলাই মাসে নাসির উদ্দিনের সঙ্গে একই উপজেলার পোদ্দারবাড়ি গ্রামের জিয়াউল হকের মেয়ে নুরজাহানের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে নাসির তার স্ত্রীকে বাবার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা এনে দিতে চাপ দিয়ে আসছিলেন।
নুরজাহানের পরিবার যৌতুকের ওই টাকা দিতে না পারায় ওই বছরের ২ সেপ্টেম্বর রাতে নাসির তার স্ত্রী নুরজাহানকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন বলে অভিযোগে বলা হয়।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, নুরজাহানের বাবা জিয়াউল হক বাদী হয়ে নাসির উদ্দিনসহ চার জনকে আসামি করে মধুপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
“নাসির উদ্দিনকে ওই ঘটনায় সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেন।”
পরে অপর তিন আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে নাসির উদ্দিনের নামে পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিল করে বলে আনোয়ারুল ইসলাম জানান।
নাসির উদ্দিন বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি একেএম নাসিমুল হক। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক।