কক্সবাজারের পেকুয়ার টৈটং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ভোটের দুদিন আগে অপহরণ করে ভোটের পর ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
Published : 01 Apr 2016, 04:56 PM
বৃহস্পতিবার রাতে নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরপরই মোহাম্মদ শহীদুল্লাহকে পাওয়া যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
শহীদুল্লাহকে অপহরণের অভিযোগে করা মামলায় এ ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানকেও আসামি করা হয়েছে।
স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন তিনি।
উদ্ধারের পর থানায় শহীদুল্লাহ পুলিশকে বলেন, মঙ্গলাবার রাত ১১টার দিকে পেকুয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের (এবিসি সড়ক) জালিয়ার চাং এলাকা থেকে র্যাব পরিচয়ে ৫/৬ জন লোক তাকে অপহরণ করে অচেনা স্থানে আটক করে রাখে।
আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থী দেওয়া সত্বেও তিনি কেন প্রার্থী হয়েছেন তা অপহরণকারীরা তার কাছে বার বার জানতে চেয়েছে বলে শহীদুল্লাহ পুলিশকে বলেন।
শহীদুল্লাহর বরাত দিয়ে পেকুয়া থানার ওসি মো. মোস্তাফিজ ভূঁইয়া বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে অজ্ঞাত পরিচয় ২/৩ জন লোক একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে শহীদুল্লাহকে পেকুয়া থানার সামনের সড়কে ফেলে রেখে চলে যায়।
“পরে টহল দলের পুলিশ কিছুটা ভারসাম্যহীন অবস্থায় ঘোরাঘুরি করার সময় তাকে দেখতে পেয়ে থানায় নিয়ে আসে।”
ওসি বলেন, শহীদুল্লাহর স্ত্রী সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে বুধবার রাতে পেকুয়া থানায় ছয় জনের নাম উল্লেখসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগে একটি মামলা করেছেন।
আসামিদের মধ্যে জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীর নাও রয়েছে যিনি টইটং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে।
নির্বাচনের ঘোষিত ফলে জাহেদুল ইসলামের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
শহীদুল্লাহর স্ত্রী সেলিনা আক্তার বলেন, তার স্বামী টইটং ইউনিয়নের দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। তাকে অপহরণ করা না হলে অবশ্যই নির্বাচিত হতেন।
চকরিয়া সার্কেলের এএসপি মো. মাসুদ আলম বলেন, শহীদুল্লাহকে অপহরণের পর মামলা রেকর্ডের পাশাপাশি সোর্স নিয়োগ করে সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালায়।
এরই প্রেক্ষিতে অজ্ঞাত অপহরণকারীরা তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
পুলিশ অপহরণ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চালাচ্ছে জানিয়ে এএসপি মাসুদ বলেন, জবানবন্দি নিতে তাকে চকরিয়া সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।