এদের দুজন ‘জেএমবি সদস্য’ এবং অন্যজন ইসলামী ছাত্রশিবিরের স্থানীয় নেতা বলে দাবি করেছেন দেবীগঞ্জ থানার ওসি বাবুল আক্তার।
আটকরা হলেন- খলিলুর রহমান (৫৫), বাবুল হোসেন (২৮) ও জাহাঙ্গীর হোসেন। এর মধ্যে খলিলুর ২০০৫ সালের ১৭ অগাস্টের বোমা হামলা মামলার আসামি।
রোববার সকালে দেবীগঞ্জের সোনাপোতা গ্রামের সন্তগৌরীয় মঠের অধ্যক্ষ যজ্ঞেশ্বর রায়কে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তারা গুলি ও বোমার বিস্ফোরণও ঘটায়।
ধারাল অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তিন মোটর সাইকেল আরোহী এই হামলায় অংশ নিয়েছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।
ওসি বাবুল বলেন, “ঘটনার পর থেকে আজ (সোমবার) সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে জেএমবি সদস্য খলিলুর ও বাবুল এবং শিবির নেতা জাহাঙ্গীরকে আটক করা হয়েছে।”
এ ঘটনায় থানায় দুটি মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
নিহতের বড় ভাই রবীন্দ্রনাথ একটি হত্যা মামলা করেছেন। অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে পুলিশ অন্য মামলাটি করে।
দুটি মামলাতেই অজ্ঞাত পরিচয়ের তিনজনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান ওসি বাবুল।
বিদেশি হত্যা এবং আহমদিয়া মসজিদ ও শিয়া সমাবেশে হামলার মতো পঞ্চগড়ের পুরোহিত খুনের দায় স্বীকার করেও আইএসের নামে বার্তা এসেছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর এসেছে।
তবে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক এই জঙ্গি সংগঠনের তৎপরতা বাংলাদেশে নেই দাবি করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বরাবরই জেএমবি কিংবা আনসারুল্লাহ বাংলাটিমকে সন্দেহের কথা জানিয়ে আসছে।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন রোববার বলেছিলেন, “দুষ্কৃতিকারীরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে অস্থিতিশীল করতেই এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।”
পুলিশ সুপার গিয়াস উদ্দিন আহাম্মেদ বলেছেন, “কারা হত্যাকারী এবং কী কারণে এমন হল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের মাধ্যমে দুষ্কৃতিকারী খুঁজে বের করা হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”