দ্রুত গতিতে চলা ইঞ্চিনচালিত ট্রলারের সৃষ্ট ঢেউয়ে খেয়া নৌকাটি দুলে উঠে একদিকে কাত হয়ে ডুবে যায়।
Published : 10 Sep 2024, 12:50 AM
কুমিল্লার হোমনায় স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় মাঝ নদীতে নৌকা ডুবে দুই স্কুলশিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।তারা দুজনেই ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
সোমবার বিকালে উপজেলার কানাই সাহা ঘাট সংলগ্ন তিতাস নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি মো. কামাল হোসেন।
হোমনা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর কামাল স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই দুই শিক্ষার্থী হলেন- পাশের বাঞ্ছারামপুর উপজেলার চরলহনীয়া গ্রামের মো. গোলাম মোস্তফার মেয়ে সামিয়া আক্তার (১২) ও একই গ্রামের মো. মুসা মিয়ার মেয়ে সামিয়া আক্তার (১৩)।
একই নামের ও গ্রামের হওয়ায় তারা বান্ধবীও ছিল বলে জানিয়েছে সহপাঠীরা।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. মনির হোসেন, মো. ইসমাইল জানান, শিক্ষার্থীরা প্রতিদিনই খেয়ানৌকায় নদী পার হয়ে বিদ্যালয়ে যায় আবার ছুটির পর একইভাবে নদী পাড়ি দিয়ে বাড়ি ফেরে। প্রতিদিনের মতো সোমবারও ২০-২৫ জন খেয়া নৌকায় নদী পার হয়ে বাড়ি ফিরছিল।
নৌকাটি কানাই সাহ ঘাট থেকে ছেড়ে নদীর মাঝামাঝি যেতেই পাশ দিয়ে একটি ইঞ্চিনচালিত ট্রলার দ্রুত গতিতে মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুরের দিকে যাচ্ছিল। ওই ট্রলারে সৃষ্ট ঢেউয়ে খেয়া নৌকাটি দুলে উঠে একদিকে কাত হয়ে ডুবে যায়।
শিক্ষার্থীরা নদীতে পড়ে গেলে তিনজন পানিতে ডুবে যায়। ঘাটে থাকা লোকজন এবং সাঁতার জানা অন্য শিক্ষার্থীরা ডুবে যাওয়া একজনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করতে পারলেও বাকী দুজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
পরে স্থানীয়রা খোঁজাখুঁজি করে প্রায় এক ঘণ্টা পর তলিয়ে যাওয়া দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেন। তাদের হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, কারও কোনো অভিযোগ না থাকায় আইনি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ওই শিক্ষার্থীদের স্বজনরা তাদের মরদেহ নিয়ে গেছেন।
হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্ষেমালিকা চাকমা বলেন, “যতটুকু শুনেছি নৌকাটিতে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী ছিল। যে কারণে পাশ দিয়ে একটি ট্রলার যাওয়ায় ঢেউয়ের তোড়ে নৌকাটি ডুবে যায়।”