চালককে সেতু থেকে তিস্তায় নিক্ষেপ, অটোরিকশা ছিনতাই

‘সেতুর মাঝামাঝিতে তারা গাড়ি থামাতে বলে। অটোরিকশা থামাতেই পাঁজাকোলা করে আমাকে ব্রিজের রেলিঙের ওপর দিয়ে মাঝ নদীতে ফেলে দেয়।’

রংপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 August 2022, 06:51 PM
Updated : 10 August 2022, 06:51 PM

রংপুরের কাউনিয়ায় চালককে তিস্তা সেতু থেকে নদীতে ফেলে তার অটোরিকশা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে।

আসাদুল ইসলাম নামের ওই অটোরিকশা চালকের অভিযোগ, মঙ্গলবার মধ্যরাতে ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী ৮/১০ জন তরুণ এ হামলা চালায়। পরে টহল পুলিশ তাকে নদী থেকে উদ্ধার করে।

তাকে কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থকেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তিনি কুড়িগ্রামের রাজারহাট সদরের মেকড়টারির দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।

আসাদুল জানান, রংপুরের সাতমাথা থেকে রাজারহাটের তিস্তা যাওয়ার কথা বলে ৮ জন কম বয়সী ছেলে তার অটোরিকশায় উঠে বসে। চারশ টাকায় ভাড়া ঠিক করে কুড়িগ্রামের রাজারহাটের তিস্তা এলাকায় যেতে চায়।

“তিস্তা নদী পার হওয়ার সময় ব্রিজের ঠিক মাঝামাঝি তারা গাড়ি থামাতে বলে। তাদের কথামতো অটোরিকশা থামাতেই পাঁজাকোলা করে আমাকে ব্রিজের রেলিঙের ওপর দিয়ে মাঝ নদীতে ফেলে দেয়।”

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, চালককে ব্রিজ থেকে ফেলে দেওয়ার পর দ্রুত দুষ্কৃতকারী কিশোররা অটোরিকশাটি ঘুরিয়ে রংপুরের দিকে চলে যায়। পেছন থেকে তারা কয়েকজন দৃশ্যটি দেখে ছিনতাইয়ের ঘটনাটি বুঝতে পারেন এবং ওই সময় টোল প্লাজায় অবস্থানরত টহল পুলিশের সদস্যদের জানান।

টোলপ্লাজায় অবস্থানরত লালমনিরহাট সদর থানার এসআই রওশানুল খাবির জানান, তিনিসহ টহল পুলিশ দলের সদস্যরা দ্রুত একটি নৌকায় করে নদীতে নামেন। নৌকার মাঝি আজিজুল ও পুলিশ সদস্য শ্যামল প্রবল স্রোতের সঙ্গে যুদ্ধ করে মাঝ নদী থেকে যুবক আসাদুল ইসলামকে তুলে আনেন।

এসআই রওশানুল খাবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সাঁতার না জানলেও আসাদুল ইসলাম কোনোরকমে ব্রিজের পিলার জাপটে ধরে রাখায় সহজে তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। নদীতে এখন ভরা বর্ষার গভীর পানি থাকলেও ভাগ্যক্রমে তাকে উদ্ধার করে আনা গেছে।