শেরপুরে শিশু অপহরণে যাবজ্জীবন সাজার নারী ১৩ বছর পর চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার

মামলার আরেক ধারায়, আসামিকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা; অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

শেরপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Feb 2024, 11:39 AM
Updated : 23 Feb 2024, 11:39 AM

শেরপুরের নকলা উপজেলায় চার বছর বয়সি শিশুকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক নারী ১৩ বছর পর চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানাধীন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র‌্যাব-১৪ জানায়।

গ্রেপ্তার তাসলিমা খাতুন (৩৮) শেরপুরের নকলা উপজেলার পাঁচ কাউনিয়া গ্রামের হোসেন আলীর স্ত্রী।

ভিকটিম শিশুটির বাড়ি একই উপজেলার শালখা গ্রামে। 

আত্মীয় হওয়ার সুবাদে তাসলিমা খাতুন প্রায়ই শালখা গ্রামে যাতায়াত করতেন। ২০১১ সালের ৯ অক্টোবর তাসলিমা শিশুটির বাড়ি বেড়াতে যান।

তিনদিন থেকে তাসলিমা ওই বাড়ির ৪ বছর বয়সি শিশুটিকে অপহরণ করে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। 

এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে ওই বছরের ১ নভেম্বর শেরপুরের নকলা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

মামলার খবরে আসামি তাসলিমা সবার অগোচরে শিশুটিকে বাড়ির কাছে রেখে পালিয়ে যান।

পলাতক তাসলিমার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালের বিচারক তাসলিমাকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা; অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

মামলার অপর একটি ধারায় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।

এদিকে, ঘটনার দীর্ঘ ১৩ বছর পর পলাতক তাসলিমার অবস্থান জানতে পারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

পরে র‌্যাব-৭ হাটহাজারী ক্যাম্প সদস্যদের সহায়তায় র‌্যাব-১৪, সিপিসি-১, এর একটি দল গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম থেকে তাসলিমাকে গ্রেপ্তার করে নকলা থানায় হস্তান্তর করে।