চাঁদপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব: অচলাবস্থা কাটেনি

রোববার সকাল থেকে দুপক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনার এক পর্যায়ে তা মারামারিতে রূপ নেয়। এতে অন্তত নয় শিক্ষার্থী আহত হন।

চাঁদপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জেরে দুদিন ধরে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। আগের দিন দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।

এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা রোববার রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ইনস্টিটিউটের ইনচার্জসহ অন্য শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখেন।

পরে সিনিয়র ১৬ শিক্ষার্থী সোমবার দুপুরের মধ্যে হল থেকে বের হয়ে যাবে মর্মে ইনচার্জকে নিশ্চিত করা হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

কিন্তু সোমবার বিকাল পর্যন্ত ওই শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগ না করায় ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের নতুন-পুরোনো ও দ্বিতীয় বর্ষের প্রায় ২২০ জন হল ত্যাগ করে ইনস্টিটিউটের আঙ্গিনায় অবস্থান নেন।

প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের একাধিক শিক্ষার্থীর অভিযোগ, ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ ১৬ শিক্ষার্থী তাদের ওপর নানা সময় প্রভাব বিস্তারসহ কারো কারো ওপর নির্যাতন করে আসছেন। এছাড়া ইনস্টিটিউটে পরীক্ষায় কড়াকড়ি করায় দুই শিক্ষকের পদত্যাগ চাওয়া হয়। এতে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করায় জ্যেষ্ঠরা তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছেন।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, এ জন্য গত ২১ অগাস্ট ১৩ দফা দাবি নিয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রধান বরাবর স্মারকলিপি জমা দেন তারা। দাবি পূরণ না হওয়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের দুপক্ষের দ্বন্দ্ব শুরু হয়।

এ নিয়ে রোববার সকাল থেকে দুপক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা শুরুর এক পর্যায়ে তা মারামারিতে রূপ নেয়। এতে অন্তত নয় শিক্ষার্থী আহত হন। সাত জনকে হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়।

নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনচার্জ জয়নব বেগম বলেন, “যে দাবি নিয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তা নিরসনে আমরা বসি। যেহেতু সমাধান হয়নি, সেহেতু বিষয়টি এখন ডিজি অফিস দেখবে। মঙ্গলবার ডিজি অফিস থেকে একটি টিম এসে এর সমাধান করবে।”

আরও পড়ুন:

চাঁদপুরে 'জুনিয়র-সিনিয়র দ্বন্দ্বে' নার্সিং ইনস্টিটিউটে মারামারি