ঘূর্ণিঝড় ‘হামুনের’ প্রভাবে দমকা হাওয়া শুরু হলে ও উপকূল উত্তাল হয়ে পড়লে সতর্কর্তার অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়েছে কক্সবাজারে। সন্ধ্যার থেকে অন্ধকার হয়ে পড়েছে পর্যটননগরী।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে কক্সবাজার শহরের পাশাপাশি জেলার অনেক অংশে বিদ্যুৎ বন্ধ থাকার কথা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, জেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী গোলাম আহম্মদ।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কক্সবাজারের সহকারী প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে রাত ৮টায় জানান, এখন প্রবল ঝড় বইছে। এই এলাকার সর্বত্র বিদ্যুত সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা গোলাম আহম্মদ বলেন, ঝড়ের গতি বেশ। বিভিন্ন জায়গায় গাছ পড়ছে। এসব কারণে সাড়ে ৭টা থেকে পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন বিদ্যুৎ সরররাহ বন্ধ রয়েছে। এর আগে সন্ধ্যা ৭টার দিকে পিডিবির লাইনের বিদ্যুতও বন্ধ রাখা হয় বলে জানান তিনি।
“এখন কক্সবাজার পরোপুরি অন্ধকারে,” বলেন তিনি।
এদিকে সন্ধ্যার পর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় হামুন কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল অতিক্রম করছে। এর প্রভাবে কক্সবাজার ও আশপাশের অঞ্চলে দমকা হাওয়া ও বজ্র বৃষ্টি হচ্ছে। সন্ধ্যার পরপরই এটি কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানে বলে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
এর আগে ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের উপকূলের দিকে এগিয়ে আসার পূর্বাভাস থাকায় চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বার বিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।
এ ঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্র বৃষ্টি হচ্ছে। সাগরে জোয়ার থাকায় ৪ থেকে ৫ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসের আশংকার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
ঘূর্ণিঝড় হামুনের মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন দুপুরে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্হাপনা কমিটির কার্যক্রম জোরদার করেছে। উপকূল এলাকায় লোকজনদের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র ও নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে মাইকিং করা হয়েছে।