১৫ দিন আগে আরেকটি বিয়ে করেন মিন্টু, এ নিয়ে স্ত্রী তসলিমার সঙ্গে তার বিবাদ চলছিল।
Published : 07 Jun 2023, 01:06 PM
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক নারী ও তার ১৪ মাস বয়সী মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। তবে স্বজনদের সন্দেহ মেয়েকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন ওই নারী।
মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামে অটোভ্যানের ব্যাটারির চার্জের জন্য সংযোগ দেওয়ার তারে জড়িয়ে এই বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনা ঘটে বলে জানান গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক।
নিহত তসলিমা খাতুন (২৭) হাড়াভাঙ্গা গ্রামের পুরাতনপাড়ার মিন্টু মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী ও শরীয়তপুর জেলার সখিপুর উপজেলার হাফিজুদ্দিন ঈদগারকান্দি গ্রামের আব্দুর রশিদ হালদারে মেয়ে। তার ১৪ মাস বয়সী মেয়ের নাম মাহিয়া।
স্থানীয় ও স্বজনরা জানান, কাজের সুবাদে শরীয়তপুরে গিয়ে তসলিমা খাতুনের সঙ্গে মিন্টু মিয়ার পরিচয় হয়। মিন্টু প্রথম স্ত্রীর তথ্য গোপন করে তসলিমাকে বিয়ে করেন।
এরপর ১৫ দিন আগে মিন্টু গাংনী উপজেলার করমদি গ্রামের মাঠ পাড়ার আব্দুল মান্নানের মেয়ে ময়নাকে বিয়ে করেন। এ নিয়ে তসলিমার সঙ্গে তার বিবাদ চলছিল।
ঘটনার পর মিন্টু মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে বলে জানান স্বজনরা।
স্বজনদের অভিযোগ, স্বামীর সঙ্গে বিরোধের জেরে মেয়েকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন তসলিমা। আর তসলিমার ও তার মেয়ের শরীরে ক্ষতস্থান দেখেও তা সন্দেহ করছেন তারা।
ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
ওসি বলেন, স্বামী মন্টু মিয়াকে খুঁজছে পুলিশ। এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটিও তদন্ত করতে মাঠে নেমেছে পুলিশ।
তবে, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি বলে জানান ওসি।