রংপুর শহরের একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্র থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, তাকে হত্যা করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে আর কে রোডের পর্যটন মোড়ের স্নেহা মাদক নিরাময় কেন্দ্র থেকে মেহেদী হাসান (২৫) নামে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে রংপুর মহানগর পুলিশের কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হোসেন আলী জানান।
মেহেদী হাসান মহানগরীর ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মদাস মুসলিমপাড়া এলাকার মশিউর রহমানের ছেলে। কয়েকদিন আগেই তাকে স্নেহা মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছিল বলে পরিবার জানিয়েছে।
মেহেদীর চাচা দলিলুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “আমার বড় ভাতিজার সঙ্গে মঙ্গলবার পরিবারের লোকজন গিয়ে দেখা করে। আজ সকালে পরিবারকে সংবাদ দেওয়া হয়, মেহেদী মারা গেছেন। পরে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে জানতে পারেন মেহেদী আত্মহত্যা করেছেন।“
দলিলুর অভিযোগ করেন, “মেহেদীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন।“
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্নেহা মাদক নিরাময় কেন্দ্রের মালিক মাছুম মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মেহেদী ভোরেও সবার সঙ্গে সেহেরি খেয়েছেন এবং নামাজ পড়েছেন। পরে আমরা সবাই ঘুমিয়ে যাই। তিনিও ঘুমাতে যান। সকালে তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে রান্নাঘরের পাশের গ্রিলে তাকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলন্ত পাওয়া যায়।
এর পরই পরিবার ও পুলিশে খবর দেওয়া হয় বলে জানান মাছুম মিয়া।
কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক হোসেন আলী বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
পরিবার থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।