আরও ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
Published : 28 Jul 2022, 06:09 PM
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের মামলায় চার জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. শওকত হোসাইন এ দণ্ডাদেশ দেন।
উপজেলার বিত্তিদেবি রাজনগর গ্রামের কফিল উদ্দিন ও আজিম মুন্সীকে হত্যায় এই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন ওই গ্রামের কুদ্দুস মিয়া, কোবাদ হোসেন ওরফে কোবা মোল্লা, রইচ উদ্দিন ও বাচ্চু মিয়া। তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে, যা অনাদায়ে তাদের আরও ৬ মাসের কারাভোগ করতে হবে।
দণ্ডিত অন্যদের মধ্যে লিক্সন হোসেন ও জিকু মিয়াকে তিন বছর এবং কলম হোসেন, আবুল বাশার ওরফে দরপন, রবিউল ইসলাম রবি, আলম মিয়া, হাবিবুল ইসলাম, ইকবাল মিয়া, মতি, তরুণ মোল্লা ও সাচ্চু হোসেনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
অতিরিক্ত পিপি আব্দুল খালেক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, হালখাতার চিঠি দেওয়াকে কেন্দ্র করে কফিল উদ্দিনের সঙ্গে ওই গ্রামের কুদ্দুসের বিরোধের সৃষ্টি হয়। ২০০৯ সালের ১৫ এপ্রিল ফজরের নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার সময় কফিলকে কুপিয়ে গুরুতর যখম করে আসামিরা। তাকে বাঁচাতে এলে একই গ্রামের আজিম মুন্সীকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই কফিল ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে আজিম মারা যান।
এ ঘটনায় কফিল উদ্দিনের ভাগ্নে হাবিবুর রহমান ১৭ জনকে আসামি করে শৈলকুপা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ৮ জুলাই পুলিশ ১৭ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। বাদী নারাজি আবেদন দিলে বিচারিক তদন্ত শেষে আরও ৩ জনকে আসামি করা হয়।
দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় চার জনকে খালাস দেয় আদালত। এক আসামি মৃত্যুবরণ করায় তাকে মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামান লাকী, রাশিদুল হাসান জাহাঙ্গীর ও এ এইচ এম খায়রুজ্জামান মামলা পরিচালনা করেছেন।