কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ জানিয়েছেন, নাশকতাসহ প্রায় ১০টি মামলায় বন্দি ছিলেন শফিকুর।
Published : 11 Mar 2024, 05:11 PM
১৫ মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান।
সোমবার দুপুরে গাজীপুরের কাশিমপুরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পেয়েছেন বলে জানানো হয়েছে দলের পক্ষ থেকে।
শফিকুরের আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘কারাগারের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেলা দুইটায় উনি মুক্তি পেয়েছেন।”
গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের পর বিএনপি ও জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের প্রায় সবাই জামিন পাচ্ছেন। মুক্তি পাওয়া বিএনপির নেতারা গ্রেপ্তার হয়েছিলেন গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপি-পুলিশের সংঘর্ষের পরে। তবে জামায়াতের নেতারা নানা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আরো আগেই।
২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর ঢাকার বসুন্ধরায় নিজের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন শফিকুর রহমান।
জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে শফিকুরের ছেলে রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহকে ওই বছরের ৯ নভেম্বর সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যাত্রাবাড়ী থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা সেই মামলায় জামায়াত আমিরকেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এরপর আরো একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয় শফিকুরকে। পাশাপাশি ২০১১ ও ২০১২ সালে সরকারবিরোধী আন্দোলনে নাশকতার একাধিক মামলায় তার বিচার শুরুর আদেশও এসেছে কয়েক মাস আগে।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ জানিয়েছেন, নাশকতাসহ প্রায় ১০টি মামলায় বন্দি ছিলেন শফিকুর। সবগুলো মামলায় জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছলে সোমবার বেলা ২টা ৪০ মিনিটের সময় তাকে মুক্তি দেয়া হয়।
কাশিমপুর কারাগারের প্রধান ফটকে শফিকুরকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কয়েকজন নেতা ও আইনজীবীরা।
জামায়াতের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “‘জালিম সরকার’ আমিরকে ‘মিথ্যা মামলায়’ দীর্ঘ ১৫ মাস আটক রেখে কষ্ট দিয়েছে। তিনি উচ্চ আদালতের নির্দেশে জামিন প্রাপ্ত হন। তিনি দেশবাসীকে সালাম জানিয়েছেন এবং সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।”
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের এক সপ্তাহ পর জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে সবার আগে মুক্তি পান কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী। তিনি আড়াই বছরেরও বেশি সময় কারাগারে ছিলেন।
ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পেয়েছেন সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং সহকারী সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম খান। পরওয়ার কারাগারে ছিলেন ৩০ মাস।
১১ মাস কারাগারে থাকার পর মুক্তি পেয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের আমির সেলিম উদ্দিন। দুই বছর কারাগারে কাটিয়ে নায়েবে আমির আ ন ম শামসুল ইসলাম মুক্তি পেয়েছিলেন নির্বাচনের আগেই।