সরকারই সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিবন্ধক: খন্দকার মোশাররফ

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি ‘আওয়ামী লীগের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক’ অভিহিত করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের জন্য এই লজ্জা বহন করে এনেছে।”

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 May 2023, 01:29 PM
Updated : 27 May 2023, 01:29 PM

বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের পথে সরকারই মূল প্রতিবন্ধক বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

শনিবার বিকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত পরিবর্তিত ভিসা নীতির প্রসঙ্গে টেনে তিনি বলেন, “আমরা এই সমাবেশ থেকে বলতে চাই, এই বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে অথবা জনগণের ভোটকে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনকে যারা বাধা দিয়েছে, দিচ্ছে, তারা হচ্ছে বর্তমান সরকার।

“আজকে আমেরিকা বলেছে যে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, সুষ্ঠু নির্বাচনে যারা বাধা দেবে তাদেরকে তারা ভিসা দেবে না, অর্থাৎ তারাও ওদেরকে (সরকার) প্রত্যাখ্যান করেছে।”

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি ‘আওয়ামী লীগের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক’ অভিহিত করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, “আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের জন্য এই লজ্জা বহন করে এনেছে।”

গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তারের প্রতিবাদসহ সরকারের পদত্যাগের ১০ দফা দাবিতে বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে এই সমাবেশ হয়।

গত ১৯ মে শুরু হওয়া সারাদেশে মহানগর ও জেলায় বিএনপির চারদিনের যে সমাবেশের কর্মসূচি শুরু হয়েছিল তা শনিবার শেষ হল।

দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে মিথ্যা মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গ টেনে সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ বলেন, “আমি বলতে চাই, আমাদের যারা প্রশাসনের আছেন, যারা সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য…. এই অবৈধ সরকার গায়ের জোরের সরকার, তারা জনগণের নির্বাচিত সরকার নয়, তাদের অন্যায় আবদার, অন্যায় নির্দেশ আপনাদের মানার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

“অতীতে যারা এই সরকারের অবৈধ, অনৈতিক, বেআইনি হুকুম মেনেছে তাদেরকে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, র‌্যাবকে। আমরা চাই না আর কোনো নিষেধাজ্ঞা, আমরা এই বদনাম কুড়াতে চাই না।

তিনি বলেন, “আপনারা যারা প্রশাসনে আছেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা যারা আছেন আপনারা জনগণের সেবক, আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারি। আমি আপনাদের আহ্বান জানাই, আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের সাধারণ মানুষ বিভিন্ন দলের কর্মসূচি আসছে, সুষ্ঠুভাবে আসছে, আজকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি হচ্ছে। সরকার বললেই … আপনারা মিথ্যা মামলা দেবেন, গ্রেপ্তার করবেন। আমি আপনাদেরকে বলতে চাই, এই কাজগুলো করছে এখনো শেখ হাসিনা সরকারের যারা অতি উৎসাহী সমর্থক তারা, তাদের জন্য আমাদের দেশের প্রশাসন, পুলিশ বাহিনীকে আমরা  ঢালাওভাবে দায়ী করতে চাই না, এদেশের মানুষ দায়ী করে না।”

বিএনপির এই নেতা বলেন, “অতি উৎসাহী হয়ে যারা আজকে সারা দেশে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছেন, আমরা আহ্বান করি আপনারা তাদের পক্ষ ত্যাগ করে জনগণের পক্ষে আসুন। আপনাদেরকে কেউ কিছু বলবে না।”

মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও উত্তরের সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, মীর সরাফত আলী সপু, সালাহ উদ্দিন আহমেদে, নাসির উদ্দিন অসীম, রকিবুল ইসলাম বকুল, যুবদলের  সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ।