শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে জাতীয়তাবাদী পেশাজীবীদের এই সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক শওকত মাহমুদ এই হুঁশিয়ারি দেন।
২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর মারপিটসহ দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় উত্তরা পশ্চিম থানার এক মামলায় বৃহস্পতিবার তাজমেরী ইসলামকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক।
মানববন্ধনে শওকত মাহমুদ বলেন, “আজ জেলখানাগুলোতে পেশাজীবীরা আটক আছেন, তারা মত প্রকাশ করতে পারছেন না, মানবাধিকার চর্চা করতে পারছেন না। মিথ্যা মামলায় তাদেরকে জেলখানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভয় ধরানোর জন্য তাজমেরী ইসলাম গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
“আমরা বলতে চাই, পেশাজীবীরা কোনোভাবেই পিছু হটবে না। এক সাপ্তাহের মধ্যে দেখতে চাই তাজমেরী ইসলামকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে কিনা। যদি তাকে মুক্তি দেওয়া না হয়, তাহলে রাজপথে আমাদের আন্দোলন শুরু হয়ে যাবে। এই আন্দোলন স্বৈরাচার সরকার পতনের আন্দোলনে রূপান্তরিত হবে।”
অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদেরও সদস্য।
তার মুক্তির দাবি জানিয়ে শওকত মাহমুদ বলেন, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আন্দোলনে কোনো আপস নেই। এজন্য সরকার মাঝে-মধ্যে চেষ্টা করে পেশাজীবী পরিষদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে।
“আমি পরিষ্কার জানাতে চাই, যেসব পেশাজীবী মনে করেন সরকার পড়ে যাবে, তারপরে তারা ঘর থেকে বের হবেন। তাদের বলব, যদি রাজপথের আন্দোলনে আপনারা না আসেন তাহলে আপনারা রাজাকার হিসেবে চিহ্নিত হবেন।”
শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়ার পরিচালনায় মানববন্ধনে পেশাজীবী নেতা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, অধ্যাপক আখতার হোসেন, অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডী, অধ্যাপক শামসুল আলম, অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান বক্তব্য দেন।