রোববার সকালে এক শ্রমিক সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি বলেন, “আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, কালবিলম্ব না করে আপনাদের বাঁচার স্বার্থে দেশনেত্রীকে মুক্তি দিয়ে তাকে বিদেশে চিকিৎসা করতে পাঠান। তাকে সুস্থ করে দেশে নিয়ে আসুন।
“তা না হলে আপনারা পালাবার পথটাও খুঁজে পাবেন না। আপনাদেরকে অবশ্যই জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।”
১৩ নভেম্বর থেকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। নানা স্বাস্থ্যগত জটিলতার মধ্যে সর্বশেষ তিনি লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে চিবিৎসকরা জানান।
খালেদা জিয়ার বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশ হয়।
দুর্যাগপূর্ণ আবহাওয়ায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে শ্রমিক দলের কয়েকশ নেতা-কর্মীরা ‘মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই, দেশনেত্রীর মুক্তি চাই’, ‘খালেদা জিয়ার কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’ ইত্যাদি শ্লোগানে সমাবেশস্থল মুখর করে রাখে।
‘সরকারকে শিক্ষার্থীদের লাল কার্ড’
মির্জা ফখরুল বলেন, “এই যে ছেলেরা রাস্তায় নেমেছে। আজকে পত্রিকায় দেখলাম, সব লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে। দেখলেন তো, সরকারকে লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে। কী কারণে রাস্তায় নেমেছে ছেলেরা? কারণ আপনারা এতোবছর কথা রাখেন না।
“এর আগে যখন ছাত্ররা আন্দোলন করেছিল, তখন আপনারা বলেছিলেন, সড়ক সঠিকভাবে চালাবেন। সড়ক তো সঠিকভাবে চালাতে পারছেন না- এটা আপনাদের ব্যর্থতা। আবার বলেন কি যে, এক্সিডেন্ট (রামপুরায়) হলো, হঠাৎ করে এতো লোক কোত্থেকে আসলো?”
‘নির্বাচন ব্যবস্থা পাল্টাতে হবে’
সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অসংখ্য মানুষ মারা গেল। আপনাদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার বললেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। এই যদি নির্বাচন সুষ্ঠু হয় সেই নির্বাচন মানুষ চায় না, তারা ভোট দিতে চায় না।”
সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে ‘নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করার’ দাবি জানান।
“আজকে সেজন্যই এই নির্বাচন ব্যবস্থা পাল্টাতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে একেবারে ফেলে দিতে হবে। আমরা সুস্পষ্ট করে আমরা বলতে চাই, নির্বাচন কমিশনকেই সরালে হবে না, এই সরকারকে সরে যেতে হবে।”
শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইনের সভাপতিত্বে ও প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপির হুমায়ুন কবির খান, ফিরোজ-উজ-জামান, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, শ্রমিক দলের সালাহউদ্দিন সরকার, আবুল খায়ের খাজা, মিজানুর রহমান, মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার, কাজী আমীর খসরু ও খন্দকার জুলফিকার মতিন বক্তব্য দেন।