কাদের বলেন, “ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি স্বতন্ত্র পরিচয়ের ঘোমটা পরে অংশ নিচ্ছে। বিএনপি ঘোমটা ছেড়ে প্রকাশ্যে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে সৎ সাহস প্রদর্শন করুক।”
শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন অর্জনে দেশের মানুষ ‘খুশি’ বলে বিএনপির আন্দোলনের ডাকে সাড়া মিলবে না বলেও দাবি করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, “বিএনপির নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে এক দফার আন্দোলনের রঙিন খোয়াবও অচিরেই দুঃস্বপ্নে রূপ নিবে। পরবর্তী নির্বাচনের ব্যাপারে সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”
আবরার ফাহাদ হত্যা নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য প্রসঙ্গে কাদের বলেন, “তাদের শাসনামলে দলীয় একজন লোকের বিচার হয়েছে কোনো অপকর্মের জন্য? এমন কোনো নজির দেখাতে পারবেন কি?
“উল্টো শেখ হাসিনা সরকারই বিশ্বজিত ও বরগুনার রিফাত হত্যার বিচার করেছে। দলীয় পরিচয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হয়নি। আবরার হত্যা মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে এবং সাংগঠনিক ও দলীয়ভাবেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আবরার হত্যার সাথে জড়িত প্রায় সবাই ছাত্রলীগ পরিচয়ের। কাউকে ছাড় দেওয়া হয়নি। সুতরাং অপরাধী যে দলেরই হোক না কেন তাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।”
“দলীয় পরিচয় কারও আত্মরক্ষার ঢাল হতে পারে না, শেখ হাসিনা সরকারই তা বারবার প্রমাণ করেছে,” বলেন কাদের।