একরামকে সদস্য রেখে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি

অধ্যক্ষ এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিমকে আহ্বায়ক করে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে, যেখানে আগের কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীর জায়গা হয়েছে সদস্য হিসেবে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Sept 2021, 09:14 AM
Updated : 30 Sept 2021, 09:23 AM

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বৃহস্পতিবার দলীয় সভাপতির অনুমোদন নিয়ে এই আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন।

ওবায়দুল কাদের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের পার্টির সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

“এর মধ্য দিয়ে এই মেয়াদে আর কোনো কমিটি আটকে নেই। ৩১টি জেলার কমিটির সম্মেলন হয়েছিল, সবগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটি আমরা শেষ করেছি। নোয়াখালী জেলাই ছিল সর্বশেষ কমিটি।”

২০১৯ সালের ২০ নভেম্বর নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়। যেখানে সভাপতি হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হন খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীও সাধারণ সম্পাদক পদে বহাল থাকেন।

সে সময় সম্মেলনের পর তাদের নেতৃত্বে আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই কমিটি আর পূর্ণাঙ্গ না করে দুই বছরের মাথায় যে আহ্বায়ক কমিটি করা হল, সেখানে নোয়াখালীর রাজনীতিতে প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত একরাম চৌধুরীর পদাবনমন ঘটল। 

এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম

৮৭ সদস্যের এই কমিটিতে আরও চারটি সদস্য পদ ফাঁকা রাখা হয়েছে। এই কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন শিহাব উদ্দিন শাহীন ও সহিদউল্লাহ খান সোহেল।

নোয়াখালী জেলায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের সবাইকে এই আহ্বায়ক কমিটিতে রাখা হয়েছে। একরাম চৌধুরীর স্ত্রী ও কবিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান বেগম কামরুন্নাহার শিউলী, বড়ভাই হাজী ইব্রাহিম মিয়া এবং ভাগ্নে জহিরুল হক রায়হানও কমিটিতে আছেন।

হাতিয়ার সাংসদ আয়েশা আলীর সঙ্গে কমিটিতে স্থান পেয়েছেন তার স্বামী ও সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ আলীও।

জেলার আহ্ববায়ক কমিটিতে জায়গা হয়নি ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার। অবশ্য আগেও তিনি জেলা কমিটিতে ছিলেন না। আহ্বায়ক কমিটিতে কোম্পানীগঞ্জের জন্য চারটি পদ ফাঁকা রাখা হয়েছে।

চলতি বছরের শুরুতে বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন বিস্ফোরক বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন কাদের মির্জা। নির্বাচন সামনে রেখে তিনি কেন্দ্রের ও জেলার কয়েকজন নেতার তীব্র সমালোচনাও করেছিলেন।

সে সময় একরামুল করিম চৌধুরীর সঙ্গে কাদের মির্জার বিরোধের বিষয়টিও সামনে আসে। এই বিরোধের জেরে নোয়াখালীতে পাল্টা-পাল্টি হামলা ও মামলাও হয়। 

আহ্ববায়ক কমিটিতে আগের পদ না পাওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে একরাম চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নিজের জেলা আওয়ামী লীগ। এখানে আমাকে কোথায় রাখবে সেটা নিয়ে আমি কী বলব। এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাই না।"