বৃহস্পতিবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “আমি আগে থাকব, আপনারা আমার পেছনে থাকবেন- সেই জায়গাটায় আসতে হবে। আমরা দীর্ঘকাল যদি ভালো থাকতে চাই, দেশের জনগণকে মুক্ত করতে চাই, স্বল্প সময়ের জন্য একটা মরণকামড় দিতে হবে।
“ডু অর ডাই- এক দফা। এর মাঝখানে কোনো এতো কথাবার্তার প্রয়োজন নাই। এক দফা এক দাবি- হাসিনা তুই কবে যাবি।”
সরকারের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর বলেন, “ভারতকে আপনি তুষ্ট করতে পারবেন না সব দিলেও। সেজন্য বলছি, দেওয়া-দেয়ি বন্ধ করেন। এখন জনগণকে দেন। কী দেবেন? এই যে ১২ বছর যাবত গণতন্ত্র ভ্যানিটি বেগে রাখছেন- এটা খুলে দেন। যে আসেন ভোট দেন, আমি সরে যাব।
“অর্থাৎ নির্বাচনে আমি আসব তবে আমি সরকারে থাকব না- এইটুকু বুক টান করে বলেন। তাতে কিছু লোকের ইতিবাচক প্রশংসা পাবেন ভোটে পাস করেন আর না করেন। ওই ইতিবাচক প্রশংসাটা হবে আগামী দিন আপনাকে এই বাংলাদেশে নিরাপদে রাজনীতি করার ক্ষেত্র।”
এই বিএনপি নেতা বলেন, “দুর্বল সরকারকে ব্ল্যাকমেইল করা সবার পক্ষে সম্ভব, দেশের অভ্যন্তরে সম্ভব, বিদেশেও সম্ভব। এই নানা ধরনের কাহিনী বেরোচ্ছে। এক পরীমনির কাহিনী দিয়ে হাজার খদ্দের চুপ। পত্র-পত্রিকাও লাফাচ্ছে, সরকার কিছু বলছে না। আদালতও ধমকাচ্ছে- কেন রিমান্ড দিচ্ছেন কেন? এক পরীমনি।
“এক পরীমনির মধ্যে তো পরীমনি সীমাবদ্ধ না- এই বাজারটা তো ছোট না। এই বাজারের খরিদদ্বার সব শেখ হাসিনার আশে-পাশে। সেই কারণে বেশিক্ষণ পরীমনিকে নিয়ে মজা করা সরকারের সম্ভব হইব না।”
জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে সার্বভৌমত্ব রক্ষা পরিষদের উদ্যোগে ‘সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।
সংগঠনের সভাপতি ওসমানী গণির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শরীফ হোসেনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল রাখেন।