শুক্রবার বিকেলে শহীদ আরিফ রায়হান দীপের স্মৃতি স্মরণে ভার্চুয়াল স্মরণ সভায় তারা দ্রুত বিচারের দাবি জানান।
সভায় বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর বলেন, “স্বাধীনতাবিরোধী চক্র দীপকে হত্যা করেছে। হেফাজত, জামায়াত, বিএনপি, জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। আমরা বুয়েটের সকল হত্যার নিন্দা জানাই।
“দীপ হত্যার প্রধান আসামী মেজবাহ নিজেকে মানসিক বিকারগ্রস্ত দেখিয়ে জামিন নিয়েছে। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি সে বিয়ে করেছে। আমরা চাই মামলার প্রধান আসামির জামিন বাতিল করে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে দীপের হত্যাকারীকে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনা হোক।"
বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি খন্দকার মঞ্জুর মুর্শেদ বলেন, “আরিফ রায়হান দীপের হত্যার আট বছর পার হয়ে গেলেও এখনো বিচার হয়নি। উল্টো প্রধান আসামি জামিনে বের হয়ে ঘুরে বেরাচ্ছে, যা খুবই হতাশা জনক।
“আমরা দেখেছি অনেক মামলার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে করা হচ্ছে। কিন্তু আরিফ রায়হান দীপের হত্যার দ্রুত বিচার কেন হচ্ছে না? এই বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘ করার মাধ্যমে দীপ হত্যার ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হচ্ছে।”
বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রওনক আহসান বলেন, “দীপ হত্যার ঘটনায় অনেক গাফলতি আমরা লক্ষ্য করেছি। আমরা এই হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করছি। তাছাড়া দীপের নামে বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ একটি ওয়েলফেয়ার গঠন করব।”
বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সিআরআইয়ের সমন্বয়ক তন্ময় আহমেদ বলেন, “দীপ হত্যার ঘটনায় বুয়েট কর্তৃপক্ষের তেমন কোন উদ্যোগ ছিল না। তাছাড়া কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটরের অবহেলার কারণে প্রধান আসামি মেজবাহ জামিন পেয়েছে।
“আমরা বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ একত্রিত হয়েছি, সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়কে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে আমরা দীপ হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করব।”
ভার্চুয়াল এই সভা সঞ্চালনা করেন বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর মাহমুদুল হাসান।
২০১৩ সালের ৯ এপ্রিল বুয়েটের নজরুল ইসলাম হলে আরিফ রায়হান দীপকে বর্বরভাবে মাথায় ও পিঠে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ধর্মান্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী।
২০১৩ সালের ২ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান।