ঈদের দিন শুক্রবার জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দেওয়ার পর তিনি দলীয় চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ খবর সাংবাদিকদের জানান।
ফখরুল বলেন, “ম্যাডাম অতি ধীরে ধীরে হলেও ইম্প্রুভ করছেন। বেশ ইম্প্রুভ করেছেন ইতিমধ্যে।
“তবুও তার ডাক্তার সাহেবরা কালকেও (বৃহস্পতিবার) আমাকে বলেছেন যে, ‘স্টিল হার কনডিশন ইজ ক্রিটিক্যাল’। তবে অনেকগুলো বিষয়ে তার উন্নতি হয়েছে এবং তারা (ডাক্তাররা) খুব আশাবাদী অতি শিগগিরই তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।”
দণ্ডিত খালেদা জিয়া সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি নিয়ে বাসায় থাকাকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর গত ২৭ এপ্রিল হাসপাতালে ভর্তি হন।
৭৬ বছর বয়সী বিএনপি চেয়ারপারসন করোনাভাইরাস সংক্রমণমুক্ত হলেও তার আরও শারীরিক জটিলতা রয়েছে। পরিবার তাকে বিদেশে নিতে চাইলেও সরকারের অনুমতি পায়নি।
বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসা চলছে।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নজরুল ইসলাম খানকে নিয়ে শেরে বাংলা নগরে জিয়ার কবর জিয়ারত শেষে করে বিএনপি মহাসচিব একাই এভারকেয়ার হাসপাতালে যান, সেখানে কিছুক্ষণ ছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়া সিসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকায় চিকিৎসকরা হাসপাতালে কাউকে না আসার অনুরোধ জানিয়েছেন। ফলে ঈদের দিন বিকাল ৫টা পর্যন্ত তার নিকট স্বজনরাও কেউ আসেননি।
তবে এরপর খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা ও ছেলে অভিক ইস্কান্দার এয়ারকেয়ার হাসপাতালে আসেন, কিছুক্ষণ থেকে তারা চলে যান।
গুলশানে ‘ফিরোজায়’ থাকাকালে গত বছরের দুই ঈদে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তবে এবার তিনি হাসপাতালে থাকায় তার আর হচ্ছে না।
ফখরুল বলেন, “এবার আমাদের দেখা করার সম্ভাবনা কম। কারণ ডাক্তারদের বারণ আছে।”
২০১৮ সালে দুর্নীতির মামলায় সাজা নিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যান খালেদা জিয়া। পুরনো ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে দুটি এবং পরে কারা হেফাজতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কেবিনে দুটি ঈদ উদযাপন করেন তিনি।
কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ওই সময়গুলোতে ঈদের দিন স্বজনরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং তার জন্য খাবারও নিয়ে গিয়েছিলেন।