গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরার দিন স্মরণে কাদের

দেড় দশক আগে জরুরি অবস্থা জারির পর বিদেশে গিয়েও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার দেশে ফেরার দিনটি স্মরণ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা কোনো অন্যায় করেননি বলে বুকে তার অসীম সাহস।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 May 2021, 03:25 PM
Updated : 7 May 2021, 03:25 PM

৭ মে উপলক্ষে শুক্রবার ঢাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।

২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নানা প্রতিকূলতার মধ্যে ২০০৮ সালের ৭ মে তিনি দেশে ফেরেন। সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এরপর তাকে গ্রেপ্তার করেছিল।

দেশে ও বিদেশের প্রবল চাপে নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়েছিল ওই সরকার। এরপর ভোটে জিতে টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকারে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ হাসিনা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে  চিকিৎসা শেষে শত প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে দিশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। 

“বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা কোনো অন্যায় করেননি বলে বুকে ছিলে তার অসীম সাহস। এদেশের মাটি ও মানুষই শেখ হাসিনার রাজনীতির মূল শক্তি। তাই তো কোনো ষড়যন্ত্রই দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে সেদিন ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি। গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করতে শত বাধা পেরিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশে এসেছিলেন বলেই সেদিন জনগণের চাপে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাধ্য হয়েছিল নির্বাচন দিয়ে সরে যেতে।”

ওবায়দুল কাদের বলেন,প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর শেখ হাসিনা শুরু করেন সঙ্কটের আবর্তে নিমজ্জমান অবস্থা থেকে দেশকে পুনরুদ্ধার করে একটি সুখী সমৃদ্ধ ও উন্নত রাষ্ট্র গড়ে তোলার সংগ্রাম। 

“বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায় ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে জাতিকে করেন পাপমুক্ত। শেখ হাসিনার হাত ধরেই এসেছে সমুদ্র বিজয়,দীর্ঘদিনের সীমান্ত সমস্যার সমাধান তাঁর অসামান্য কূটনৈতিক দক্ষতারই পরিচায়ক।”

শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারীর প্রথম ঢেউ মোকাবেলা করে দেশ- বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী কাদের।

“বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ যেখানে করোনা মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে শেখ হাসিনার সাহসী ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে জীবন ও জীবিকার মাঝে সমন্বয় করে করোনা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এনেছে।”

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রাম এবং উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জনের ইতিহাসে ৭ মে শেখ হাসিনার দেশে ফেরাটা একটি ‘তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেন কাদের।

তবে এবার মহামারীর কারণে কোনো কর্মসূচি না নেওয়া হলেও শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে ঘরে বসেই সবাইকে দোয়া করার আহ্বান জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের জানান,  আগামী ১৭ মে শেখ হাসিনার  ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল হবে। এছাড়া মসজিদ, মন্দির ও প্যাগোডায় বিশেষ প্রার্থনা হবে।